সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সিলেটের জকিগঞ্জে চোরাইকৃত ১৮টি মোবাইল ফোনসহ এক যুববকে আটক করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ইমন মিয়া (১৯) উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
আটকের ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) বেলা দেড়টায় প্রেস ব্রিফিং করেছেন জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়।
সংবাদ সম্মেলনে জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, গতকাল সোমবার (১০ আগস্ট) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার এসআই শাহিনুর রহমান তাকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তার তথ্যর ভিত্তিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের, ওসি (তদন্ত) সুশংকর পাল ও এসআই শাহিনুর রহমান আনন্দপুর গ্রামের মস্তুফা আহমদ মস্তুর খড়ের ঘর থেকে চুরিকৃত ১৮টি মোবাইল ও একটি স্পিকার সেট উদ্ধার করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, গত ৩ মার্চ গভীর রাতে শহরের একটি মোবাইলের দোকানের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ‘ক্লু লেস’ মামলাটিতে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে অবশেষে জড়িত যুবককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃত যুবকের তথ্যমতে ১৮টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
সুদীপ্ত রায় আরও বলেন, দোকানে চুরির ঘটনায় জড়িত যুবক কিশোর বয়সে থাকাকালেই ভয়ঙ্কর অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। সে পাশের বাড়ির একটি ছোট শিশুকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিল। পরে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় তখন ইমন মিয়াকে পুলিশ আটক করলে সে শিশু হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে সে জামিনে মুক্তি পেয়ে কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে আবারও অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। কিশোর বয়স থেকে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়া ইমন চুরির ঘটনা ঘটিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তাকে শনাক্ত করেছে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ইমন মিয়াকে আজ মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করলে সে বিজ্ঞ আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।