আজ সোমবার, ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, সকাল ৯:০৭

ভাঙ্গনে বিলীন উত্তর আলমপুর গ্রামের রাস্তা, দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত আগস্ট ৪, ২০২০, ০৮:১৩ অপরাহ্ণ
ভাঙ্গনে বিলীন উত্তর আলমপুর গ্রামের রাস্তা, দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ

সিলেটের বার্তা প্রতিবেদক:: ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে পড়েছে গ্রামের রাস্তা। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষকে। কষ্ট শিকার করে স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। মসজিদ পানে ছুটতে মুসল্লিদের।

প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার উত্তর আলমপুর গ্রামের সড়কের এই দশা জানান দেয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের খামখেয়ালিপনার কথা।

উত্তর আলমপুর গ্রামটি উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়ন ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মধ্যখানে অর্থাৎ বাদেপাশা ইউনিয়নের আওতাধীন হলেও তা কুশিয়ারা নদীর পশ্চিম পাড়ে ও ভাদেশ্বর ইউনিয়নের শেষাংশে অবস্থিত। উত্তর আলমপুর, কোনাগাও এবং খুলিয়া গ্রামের অর্ধাংশ বাদেপাশা ইউনিয়নের আওতাধীন। এ গ্রামগুলোর পার্শ্ববর্তী গ্রাম উজান মেহেরপুর, কাটাখাল, নিয়াগোল, গোয়াসপুর, শেখপুর ইত্যাদি গ্রামগুলো ভাদেশ্বর ইউনিয়নের আওতাধীন।

এদিকে বাদেপাশা ইউনিয়ন কুশিয়ারা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় এ ইউনিয়নের মানুষজন সাধারণত চন্দরপুর-সুনামপুর সেতু দিয়ে অথবা আশে-পাশের রাস্তা দিয়ে শহরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকেন। ভাদেশ্বর ইউনিয়নের আওতাধীন গ্রামগুলোর যাতায়াতের জন্যও ভালো মানের যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে।

কিন্তু, এখানকার দুই/তিন গ্রামের (উত্তর আলমপুর, কোনাগাও এবং খুলিয়া) মানুষের যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত কোন রাস্তা নেই। একমাত্র পায়ে হেটে চলার উপযোগী যে রাস্তাটি উত্তর আলমপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে সে রাস্তাটির প্রায় ৭৫% অংশ বর্তমানে খালের ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। খালটি কুশিয়ারা নদী থেকে শুরু হয়ে ভাদেশ্বর ইউনিয়নের কুড়া নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। প্রতি বছরই বন্যার সময় খালের প্রবল স্রোতে রাস্তাটি ভাঙতে থাকে। এভাবে ভাঙতে ভাঙতে রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশই এখন বিলীন হয়ে গেছে।

অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে গ্রামের বেশ কিছু বাড়ী-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একদিকে নদীর ভাঙ্গন আবার অন্য দিকে খালের ভাঙ্গনের কারণে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন গ্রামবাসী। ভাঙ্গনের ভয়াবহতায় একসময় পুরো গ্রামটিই বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

আরও পড়ুন:  হবিগঞ্জে একদিনে ১১৭ জনের করোনা শনাক্ত

যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় গ্রামের কোনও রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নিয়ে যেতে চরম বেগ পোহাতে হয়। গাড়ি চলাচলের সুবিধা না থাকায় কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী ঐ গ্রামে পৌঁছানোর কোন সুযোগ নেই। কুশিয়ারা নদীর পশ্চিম পাড়ের উত্তর আলমপুর গ্রাম থেকে শুরু করে ঐ রাস্তাটি ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মাসুড়া গ্রামের সাথে মিলিত হয়েছে। প্রায় ৩/৪ বছর পূর্বে ঐ রাস্তা দিয়ে সিএনজি অটোরিকশার মাধ্যমে মানুষজন যাতায়াত করতে পারলেও আজ ঐ রাস্তাটি খালের ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে বর্তমানে পায়ে হেটেও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। দীর্ঘদিন যাবত এ রাস্তায় কোন উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় এবং রাস্তাটি সংরক্ষণের জন্য কোন ভূমিকা না রাখার কারণে আজ রাস্তাটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে দাবী এলাকাবাসীর।

তারা জানিয়েছেন, রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ার প্রধান কারণ এর কিছু অংশ বাদেপাশা ইউনিয়নে এবং দুইতৃতীয়াংশ ভাদেশ্বর ইউনিয়নের আওতাধীন। এজন্য গ্রাম ও গ্রামের রাস্তাটি সর্বদা অবহেলার মধ্যেই রয়েছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি সংস্করণের আশ্বাস দিলেও কোন সুরাহা হয় নি আজও।

তাই, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাগবে এখানে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন তারা।

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১