আজ সোমবার, ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, রাত ৮:০৯

গোয়াইনঘাটে গরীবের পাশে গোশত নিয়ে মানবিক পুলিশ রতন শেখ

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত আগস্ট ২, ২০২০, ১১:১২ অপরাহ্ণ
গোয়াইনঘাটে গরীবের পাশে গোশত নিয়ে মানবিক পুলিশ রতন শেখ

গোয়াইনঘাট থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা:: মহামারী করোনাকালের শুরু থেকেই সিলেটসহ সারাদেশে প্রথম সারির যুদ্ধা হিসেবে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা।

সরকারের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা স্ব-উদ্যোগে মানবতার কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন।

শুধু তাই নয়, শনিবার উদযাপিত হওয়া পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জবাইকৃত কুরবানীর গোশত নিয়ে হাজির হয়েছেন দরিদ্রদের দুয়ারে।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রকৃতি কন্যা জাফলং পর্যটন কেন্দ্র পুলিশের সাবজোনে ইন্সপেক্টর হিসেবে ইন্সপেক্টর রতন শেখ যোগদান করার পর থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্হা জোরদার হয়ে।

তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পট সমুহ চুরি, ডাকাতি ছিনতাই, জুয়া মাদকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থাসহ জড়িতদের শাস্তির মুখোমুখি করে প্রশংসনীয় হয়েছেন আগে থেকেই।

পর্যটক নিরাপত্তায় তার মহতি উদ্যোগ এবং নিরলস পরিশ্রমে প্রকৃতি কন্যা জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুলসহ পর্যটন স্পট সমুহের আগত পর্যটক, দর্শনার্থীদের নির্ভিগ্ন আগমন এবং নিরাপদ প্রস্থানের ব্যবস্হা নেয়ায় বেশ কিছুদিন থেকে গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পট সমুুুহে অত্যন্ত সুশৃংখল পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসা এবং এই ব্যবসার সাথে জড়িতদের একটি নির্দিষ্ট গন্ডির ভেতরে এনে এলাকার ভাবমূর্তি রক্ষা,পাশাপাশি সরকারের নির্দেশনা এবং আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রেখে ব্যবসা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদানসহ তার ইতিবাচক কর্মকান্ডের দিকগুলো এলাকাবাসী প্রশাসন এবং সরকারেও অত্যন্ত প্রশংসনীয় হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশের এই ইন্সপেক্টর তার কর্মদক্ষতায় ইতিপূর্বে দেশের সেরা পর্যটন পুলিশের ওসির স্বীকৃতিও লাভ করেছেন। তার ভালো ও ইতিবাচক কাজের আরও একটি চিত্র চোখে পড়লো পহেলা আগস্ট ২০২০ সালের উদযাপিত হওয়া পবিত্র ঈদুল আজহায়। তার মহতি উদ্যোগে ঈদুল আযহায় উদ্বেলিত সহকর্মী বন্ধু বান্ধবরাও। ঈদের আনন্দকে আরো জাঁকজমক এবং দৃষ্টিনন্দন করে রাখতে তার মহতী উদ্যোগও প্রশংসনীয় হয়েছে। ইন্সপেক্টর রতন শেখ নিজ উদ্যোগে জাফলং পর্যটন পুলিশের সহকর্মীদের নিয়ে তিনি একটি পশু কুরবানী দিয়েছেন।

কুরবানীর দেয়া পশুর মাংসের বৃহৎ একটি অংশ জাফলং পর্যটন এলাকার আশপাশে বসবাসরত কলোনি, বস্তির ছিন্নমূল মানুষ এবং অসহায় পথ শিশুদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের মাঝে তিনি নিজ হাতে বন্টন করেছেন।

আরও পড়ুন:  যৌথ অভিযানে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও মুদ্রা জব্দ

অসহায় মানুষজন যাতে অন্তত কিছু কুরবানির মাংস পায় এজন্য তিনি নিজেই পলিথিনের ব্যাগে করে প্রতিটি ছিন্নমূল মানুষ ও পথ শিশুদের ঘরে ঘরে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিয়েছেন। তার এমন দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ পুলিশের সহকর্মীদের পাশাপাশি এলাকার সচেতন মহলেও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

বল্লাঘাট পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া জানান, পর্যটন পুলিশের ইন্সপেক্টর রতন শেখ যোগদানের পর থেকে জাফলংয়ের পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হয়েছে।

তার নিরলস পরিশ্রমে পর্যটন সংশ্লিষ্ট অপরাধ-পরিক্রমাও হ্রাস পেয়েছে। একটি নির্দিষ্ট গন্ডিতে পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে নিতে তার প্রশংসনীয় উদ্যোগ এলাকার পাশাপাশি সরকারের জন্যও একটি ভালো খবর।

এ ব্যাপারে কথা হলে পর্যটন পুলিশের জাফলং সাব জোনের ইন্সপেক্টর রতন শেখ জানান,কাজ করি মানুষের তরে।

পর্যটন পুলিশের জাফলং সাব জোন ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগদান করে আমি যা করেছি তা আপনাদের চোখের সামনে দন্ডায়মান আছে যে কদিন এখানে থাকবো পর্যটক নিরাপত্তাসহ বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বিশেষ করে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে যাবো। জাফলংয়ের ছিন্নমূল পথশিশু এবং অসহায়দের ঘরে ঘরে একটু কুরবানীর মাংস পৌছে দেয়া যায় কিনা এমন মনমানসিকতা থেকে চেষ্টা করেছি তাদের হাতে ছোট্র একটি মাংসের ব্যাগ তুলে দিতে। কুরবানির একটু মাংস পেয়ে অসহায় পথশিশুরা অনেক খুশি হয়েছে।

মাংস পেয়ে তাদের আরও অনেক আনন্দিত হতে দেখে আমারও ভালো লেগেছে। গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিব বলেন, গোয়াইনঘাটের পর্যটন স্পট সমূহের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে ইন্সপেক্টর রতন শেখ প্রশাসনের পাশাপাশি নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটক নিরাপত্তা জোরদার ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনে তার বেশ কিছু উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১