
সিলেটের বার্তা প্রতিবেদক:: মহামারী করোনা ভাইরাসের মাঝে উদযাপিত হতে যাচ্ছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ঈদুল আযহা। এই ঈদের প্রধান কাজই হচ্ছে আল্লাহর জন্য পশু কুরবানী করা।
সিলেটের পশুর হাটের এমন চিত্র অতীতে কখনো দেখা যায় নি। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সিলেটের বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাট ভর্তি পশু আছে তবে ক্রেতা নেই।
কুরবানির গরুর দাম তুলনামূলক কম থাকলেও সিলেটের সব হাটগুলোর অবস্থা প্রায় ক্রেতাশূন্য। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতির আশঙ্কায় পড়েছেন ইজারাদার ও বেপারীরা।
শনিবার সারাদেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। সেই হিসাবে শেষ সময়ে পশুর হাটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকার কথা। কিন্ত বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সিলেট নগরীর কাজিরবাজারের স্থায়ী পশুর হাট এবং দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকস্থ অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে বাজারে ক্রেতা নেই। হাটগুলোতে বিক্রেতারা অপেক্ষায় থাকলেও ক্রেতার দেখা মিলছে খুব কম। মাঝেমধ্যে দু-একজন আসলেও তারা দরদাম করে চলে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট নগরীর লাক্কাতুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে পশুর হাট উচ্ছেদ করার পূর্ব পর্যন্ত এখানেও ক্রেতার অভাব ছিলো। সিলেট শহরতলীর আশপাশের হাটগুলোতেও একই অবস্থা। সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুলবাজার, দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার, রেঙ্গা হাজিগঞ্জ বাজারসহ কয়েক জায়গায় বড় ধরণের হাট বসলেও নেই ক্রেতাদের আনাগোনা।
এদিকে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর শুরু থেকেই কুরবানির পশুর দাম কম। দাম কম থাকার পর ক্রেতাদের নাগাল পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। আবার এবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ অনলাইনে পশু কেনায় তারা বাজারমুখি হননি।
দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকস্থ অস্থায়ী পশুর হাটের গরু বিক্রেতা আব্দুশ শুকুর জানান, ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা দামের মধ্যে তিনটি গরু নিয়ে তিনি বাজারে এসেছেন। কিন্তু গত তিনদিনে ক্রেতা খুঁজে পাননি। এমন অবস্থা এই বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের।
সিলেটের হাটগুলোতে কুরবানির পশুর দাম কম থাকার পরও ক্রেতা না থাকায় বিক্রেতা ও ইজারাদারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। স্বল্প পরিসরে কিছু পশু বিক্রিও হলেও এতে খুশি নন তারা। বিশেষ করে সিলেট জেলার বাইরে থেকে আসা বেপারীরা তাদের আসা-যাওয়ার খরচের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিক্রির হার যদি না বাড়ে তাহলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।
ঈদুল আজহার শেষ সিলেটের পশুর হাটগুলোর এরকম অবস্থা আগে দেখেননি। তবে অনেকে জানালেন, ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের আগ মুহুর্তে করোনাভীতি জয় করে কোরবানি দেবেন। এ কারণে বৃহস্পতিবার শেষরাত বা শুক্রবার পুরোদিন হাটে কেনাবেচার মাধ্যমে এই দৃশ্য পাল্টে যাবে