
মাওলানা নুরুল ইসলাম জুয়েল:: মহান আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে কোরবানির মতো মহান ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা।
আল্লাহ পাকের প্রতি অপার আনুগত্য এবং তারই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এক ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে মুসলিম বিশ্বে ঈদুল আযহা উদযাপিত হয়ে আসছে।
হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে প্রতি বছর পশু কোরবানি দিয়ে থাকে বিশ্বের লক্ষ কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আগামি শনিবার পবিত্র ঈদুল আযহা। সকালে দুই রাকাত নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শুভ সূচনা হয়ে নামাজের পর কোরবানি করার মাধ্যমে মূল ঈদ আনন্দ শুরু হবে। পবিত্র ঈদুল আযহা হিংসা-বিদ্বেষ পেছনে ফেলে ঈদ সবার জন্য সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও আনন্দ নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করছি। ঈদ মুসলমানদের জন্য এক আনন্দঘন দিন। এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, সারা বাংলায়। ঈদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় সমাজ গঠনে ঈদুল আযহার আবেদন তাই চিরন্তন। ঈদুল আযহা ত্যাগের মহিমা শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ সমাজ। ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব বোধের অনুপম শিক্ষা দেয় , হিংসা ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে ঈদুল আযহার ত্যাগের শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে নিয়ে আসুক। ভালো থাকেন সবাই সুস্থ থাকেন, ঘরে থাকুন, নিরাপদে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ কাঁটান সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারাক।
লেখক: প্রিন্সিপাল, বায়তুল আতিক তাহফিজুল কোরআন নূরানী মাদরাসা। বাঘা গোলাপগঞ্জ, সিলেট।