
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: তালাবদ্ধ ঘরে পড়ে আছে স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ। গলায় কোপের দাগ। কর্তন করা হয়েছে লিঙ্গ। সন্তান নিয়ে উদাও হয়ে গেলেন স্ত্রী জেনি বেগম।
ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোমিখলা এলাকায়।
নিহত নিজাম আহমদ (৪০) নামের ওই ব্যক্তি মমিনখলার আব্দুল গফফার হারুন মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া। তার মূল বাড়ি কালিঘাট ছড়ারপাড় এলাকায়।
তার স্ত্রী জেনি বেগমের বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়া মাঝপাড়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বুধবার দিবাগত রাতে নিজাম আহমদ, তার স্ত্রী জেনি বেগম ও তাদের দুই বাচ্চা মমিনখলাস্থ বাসাতেই ছিলেন। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীরা ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় আশপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দেন।
পরে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-দক্ষিণ) সুহেল রেজা, দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি আখতার হোসেনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তাঁরা তালা ভেঙে ঘরের ভেতর নিজাম আহমদের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। তার ঘাড়ে দায়ের কোপ রয়েছে। এছাড়া তার লিঙ্গ কর্তন করা হয়েছে। পুলিশ দা উদ্ধার করেছে।
তবে ঘরের মধ্যে নিজামের স্ত্রী জেনি বেগম ও তাদের দুই বাচ্চাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ এখন জেনিকে খুঁজছে।
নিহতের ভাই আসলাম আহমদ অভিযোগ করেছেন, ৬ লাখ টাকার জন্য তার ভাই নিজাম আহমদকে খুন করেছেন জেনি বেগম।
আসলাম আহমদ সিলেটভিউকে বলেন, ‘আমরা দুই ভাই জায়গা কেনার জন্য ৬ লাখ টাকা জমা করেছিলাম। কিন্তু পছন্দমতো জায়গা পাচ্ছিলাম না। জেনি বেগম ওই টাকা তার বাবার বাড়িতে দরকারের কথা বলে নেন। জমি পাওয়া গেলে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এখন আমরা জমি পাওয়ায় ভাই নিজাম আহমদ টাকার কথা বলেন জেনিকে। কিন্তু তিনি বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিচ্ছিলেন না। টাকা চাওয়াতেই এ খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
তিনি দ্রুত জেনি বেগমকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, নিজাম আহমদের লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে দক্ষিণ সুরমা থানা সূত্র জানিয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ খুনের পেছনে কী আছে, কারা আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’