
নিজস্ব সংবাদদাতা:: মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি থমকে দাঁড়িয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। সবকিছু যেনো নিমিষেই পাল্টে গেছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত সমাজের অসহায় মানুষ। জৈন্তাপুরে করোনার মাঠে, জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রদল নেতা আবুল হাসিম
জৈন্তাপুরে করোনা যুদ্ধে জনগণের পাশে থেকে কাজ করছেন এক ছাত্র নেতা। করোনার বিরোদ্ধে তার যুদ্ধ চলছে সম্মুখ সমরে। প্রকাশ্যে,মাঠে। নিজের জীবনের ঝুকির পাশাপাশি রয়েছে তার পুরো পরিবারের সদস্যদের সংক্রমিত হওয়ার ভয়। হয়েছেনও একজন। নিজের বড় ভাই আব্দুল হাফিজ করোনা পজিটিভ হয়ে কোয়ারান্টাইন কাটিয়ে এখন সুস্থ্য হয়েছেন। তবে নিজে সূস্থ্যাবস্থায়ই আছেন উপজেলা সদর নিজপাটের জনগণের হয়ে মাঠে,ময়দানে। সরকারী দিক নির্দেশনা,পরামর্শ জনগণের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য ছুটে চলছেন নিরন্তর। তার এ পথ চলায় নেই দিন কিংবা রাত। দুর্যোগকালিন এ দীর্ঘ সময়ে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সদর আর নিজপাটের মানুষের হৃদয় জয় করে মানবতার দেয়ালে নিজেকে আগলে রেখেছেন তিনি। যার কথা বলা হচ্ছিল তিনি মোঃ আবুল হাসিম। তুরুন এ রাজনৈতিক সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ১নং নিজপাট ইউপির বাসিন্দা। তার রাজনৈতিক পরিচয় জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি। করোনাকাল শুরু হতেই রাজনৈতিক পরিচয়ের বাহিরে এসে শুরু তার করোনা যুদ্ধ। নিজে এবং তার সহকর্মি বন্ধুবান্ধবসহ একঝাক তরুন নিয়ে করোনা যুদ্ধে অংশগ্রহণ শুরু করে এখনো মাঠে আছেন তিনি। শুরুতেই হ্যান্ড স্যনেটাইজার,মাস্কসহ সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহারে জনসচেতনতা তৈরী.লকডাউন মেনে চলাসহ জনসাধারণকে উদ্ধুদ্ধকরণসহ নানা কর্মসুচী পালন করেন তিনি। পাশাপাশি সরকারি,বিত্তবান এমনকি নিজ উদ্যোগে মানুষের মাঝে তার সার্বিক সহযোগিতাসহ ত্রান তৎপরতায় কাজ করায় এলাকায় তার ভূমিকা ছিলো সাহসিকতার ও প্রশংসনীয়। সিলেটের জৈন্তাপুরে উপজেলা প্রশাসন,থানা পুলিশ বিভাগের পর প্রথম ব্যক্তিই এই আবুল হাসিম জীবনের ঝুকি নিয়ে এখনো করোনার যুদ্ধে অবতীর্ন হয়ে মাঠে রয়েছেন। আর এ কারণে দল মতের বাহিরের একজন হিসেবে সর্ব মহলের প্রশংসার ভাগিদার হয়েছেন এ তরুন সমাজকর্মি। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে তা ড়িয়ে পড়ে জেলা জেলায় এমনকি জৈন্তাপুর উপজেলায়ও । জৈন্তাপুর উপজেলায় শুরুতেই তিনি মাস্ক,হ্যান্ড স্যানিটাইজার,জনগণকে ঘরবন্ধি থাকাসহ জনসচেতনতায় নেমে পড়েন। জনসাধারণকে সুরক্ষায় ঘরে ঘরে সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে তিনি হাজির হয়ে করোনা ভাইরাস প্রার্দুভাব থেকে জনগণকে সংক্রমণমুক্ত রাখতে কাজ করেন। পরে ঘরবন্ধি মানুষের জন্য ত্রান কার্যক্রমেও তার অবস্থান ছিলো চোখে পড়ার মতো। শুধু করোনার দূর্যোগ নয় সদ্য সমাপ্ত পাহাড়িঢল সৃষ্ট বন্যাসহ পর পর ৩টি বন্যায় স্বশরীরে ক্ষতিগ্রস্থ্য মানুষজনের পাশে দাড়ানোর নজির করে দেখান তিনি। নিজে স্বশরীরে পাশাপাশি নিজের ফেসবুকসহ নেট দুনিয়ার বিভিন্ন সাইটেও জনসচেতনতামুলক তার প্রচার প্রচারনা চোখে পড়ার মতো। তার ব্যাপারে কথা হলে উপজেলার ষ্ট্যাশন বাজারের একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,সরকার,প্রশাসন ও পুশিল বিভাগের বাহিরে জনসাধারণের মধ্যে যে কজন লোক মাঠে থেকে করোনার ব্যাপারে সক্রিয় হয়ে কাজ করছেন তাদের অন্যতম আবুল হাসিম। করোকালে মানুষের তরে তার এ মহতি উদ্যোগ ও প্রয়াস প্রশসংনীয়। জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ আহমদ বলেন,মানুষ,মানবতার একজন দরদি হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের সহপাঠি বন্ধু রাজনৈতিক আবুল হাসিম। করোনাকালে জৈন্তাপুরে গণসচেতনতায় অনলাইনসহ সরাসরি তার বেশ কিছু প্রশংসনীয় কাজ মানুষের হৃদয়ে তাকে আরও ভালো স্থানে অধিষ্টিত করেছে। দল মতের বাহিরে এসে তার মতো এরখম সবাই কাজ করলে সমাজ উপকৃত হবে। করোনাকালে জৈন্তাপুরে মানবতার তরে কাজ করা মানুষগুলোর মধ্যে আবুল হাসিম সচেতনদের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। একান্তে কথা হলে করোনা যুদ্ধা ছাত্রনেতা আবুল হাসিম জানান,আমি কখনই লোক দেখানো কর্মকান্ড পছন্দ করিনা। আবার প্রচার কিংবা প্রসারের জন্য আমার করা কাজগুলো প্রচারও করতে চাইনা । শুধু মাত্র জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ফেসবুকে তা শেয়ার করি জনস্বার্থে। করোনা ভাইরাস সৃষ্ট দূর্যোগ শুরু হলে জৈন্তাপুরে আমি চেষ্টা করেছি জনসাধারণকে এ ভাইরাস দ্বারা জনসাধারণকে রক্ষায় কাজ করতে। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখনো আছি রাত-বিারতে। যে কদিন বাচবো মানবসেবায়ই নিজেকে লিপ্ত রাখতে চাই।