
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পেশায় ব্যাংকার রাহুল চন্দ্র চন্দ। নিজ বিবাহিত স্ত্রীর নির্যাতনে অতিষ্ট তিনি। শুধু রাহুল-ই নয়। পরিবারের সকল সদস্যরা নির্যাতনের শিকার।
গৃহবধূ রিপা রানী চন্দ্র। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। তার বিরুদ্ধে পরকীয়া, উগ্র আর অশঙ্খল চলাফেরা, নেশায় আসক্তিসহ নানাবিদ অভিযোগ রয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর, বৃদ্ধ মা ও সন্তানদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্বামী রাহুল চন্দ্র চন্দ।
এঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্ত্রী রিপা রানী চন্দ্রের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-৭০) ও করেছেন স্বামী রাহুল।
রিপা রানী চন্দ্র শ্রীমঙ্গল উপজেলার চাতল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
রাহুল জিডিতে বলেন, ২০১০ সালে ৮ জুলাই হিন্দু আইনে তিনি রিপা রানীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি মেয়ে রুশিতা (৭) ও একটি ছেলে রাহি চন্দ্র চন্দ (৩) রয়েছে।
বিবাহের পর থেকে স্ত্রী রিপা উশৃঙ্খল আচরণ করতে থাকে। বিভিন্ন লোকের সাথে অহেতুক চলাফেরা করতে থাকে। দুই সন্তানের দিকে চেয়ে রাহুল মুখবুঝে সহ্য করে নেন। এক পর্যায়ে রিপার উশৃঙ্খলতা ও পরকীয় বেশী বেড়ে গেলে তিনি রিপার আত্মীয়স্বজনকে জানান। প্রাথমিকভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংশা করার চেষ্টা করেন।
বারবার তার আত্মীয় স্বজন নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসলেও কোন সুরাহা হয়নি। পরপুুরুষের সাথে সম্পর্ক, নেশাগ্রস্থ হয়ে খারাপ আচরণ করা আরো বেড়ে যায়। স্ত্রীর অবাধে পরকীয়া, একাধিক ছেলের সাথে মেলামেশার নিষেধ করলে আত্মহত্যা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল কাটানো ও চাকরি খাওয়ার হুমকি দেয় রাহুলকে।
এসব ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই মাধবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন রাহুল (যার নং- ৬৪৫, ১৪.০৭.২০১৯)। উক্ত ডায়রীতে বিজ্ঞ আদালতে নন জিআর মামলাও রুজু হয় (যার নং- ৬৫/২০১৯)। এরপর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন স্ত্রী রিপা। নেশাগ্রস্থ হয়ে রাহুলের বৃদ্ধা মাকে গালিগালাজ, মারধর, ২ সন্তানকে মারধর ও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করতে থাকেন রিপা।
বর্তমানে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত, হবিগঞ্জে তাদের পৃথক বসবাসের জন্য একটি মামলাও চলমান রয়েছে। গত ২৯ জুন শ্রীমঙ্গলে এক যুবকের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় রিপাকে উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহরলাল তরফদার ও সেক্রেটারী এবাদুর রহমানের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জিম্মা থাকাকালীন সময় গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) হঠাৎ রাহুলের বাড়িতে এসে তার ছেলেকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করার হুমকি প্রদান করেন স্ত্রী রিপা।
রাহুল একজন ব্যংক কর্মকর্তা, সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানী একজন ব্যক্তি। স্ত্রীর এসব আচরনে তাঁর সামাজিকভাবে মানসম্মানহানী ঘটছে। স্ত্রীর এসব কাজে আইনানুগ ব্যবস্থা করে তাকে স্ত্রীর কবল থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন রাহুল।