
নিজামুল হক লিটন:: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকা। নানা কারণে পুরো সিলেটের মাঝে আলোচিত। বিশেষ করে মাদক আর জুয়ার জন্য এই এলাকাকে বিশেষ নজরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দক্ষিণ সুরমা এলাকার ছোট-বড় অসংখ্য কলোনী রয়েছে। কলোনীর মালিকরা ভাড়াটেদের পরিচয়পত্র না নিয়ে ভাড়া দিচ্ছেন। আবার অনেক মালিকপক্ষ মাসিক ভাড়ার টাকাটা নিয়েই দায় সেরে উঠেন। কিন্তু ভাড়াটে লোকজন কী পেশায় আছে? তার কোন খবর রাখেন না। ফলে অপরাধ ক্রমশঃ বাড়ছেই।
চুরি-ডাকাতি থেকে শুরু করে মাদকের ব্যবসা চলছে এসব কলোনীতে। আবার দেখা গেছে দক্ষিণ সুরমায় গ্রামের নিজস্ব ঘরবাড়ি ছেড়ে শহরে বসবাস করেন বাড়ির মালিক আর এ সুযোগে বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকেন।
দক্ষিণ সুরমার ৬ নং লালাবাজার ইউনিয়ন এলাকার জাফরাবাদ, নাজির বাজার, রশিদ পুর, সিলাম, বদলী, চান্দাই, শিববাড়ি, গালিমপুর, লাল মাটিয়া, কুচাই, পালপুর ও আরও একাধিক কলোনী রয়েছে সরকারি আইন না মেনে অনেকে, বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকেন বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে একটি চুক্তিনামা সই করতে হয়। এই চুক্তি নামা বিষয়টি অধিকাংশই এড়িয়ে চলেন।
এদিকে অনেক বাড়িওয়ালা চুক্তিনামায় বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া যে জেলার হোক না কেন তাদের নাম, ঠিকানা, ভোটার আইডি কার্ড, মোবাইল নাম্বর, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বার এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স একান্ত জরুরি।
এসব কাগজপত্র বাড়িওয়ালারা স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে জমা দিতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক বাড়িওয়ালা মনগড়া বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন,এতে করে বিভিন্ন সময় দেখা যায় স্থানীয় অপরাধীদের সাথে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড চুরি, ডাকাতি, মাদক কারবারি কেউ বা আবার মার্ডার মামলার আসামিরা।
অপরদিকে এসব কলোনীতে বসবাস করতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে এসএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ সিলেটের বার্তাকে বলেন, আমাদের পুলিশ মাঠে আছে। আর এসব কলোনীর মালিক ও ভাড়াটেদের তালিকা সংগ্রহ করা হবে।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জাফরাবাদ এলাকা ও লালাবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এবাদুর রহমান সিলেটের বার্তাকে জানান, দক্ষিণ সুরমার ২০ ২৫ টি পরিবার বিভিন্ন বাড়িতে বসবাস করে। এসব মানুষের চলাচল দেখে আমাদের সন্দেহ হয়।
আমি মনে করি যত কলোনী রয়েছে এদিকে পুলিশ, চেয়ারম্যান, ও মেম্বার নজর দেন। তবেই চুরি-ডাকাতি, মাদক ব্যবসা বন্ধ হবে।