সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: দেহ ব্যবসার জন্য ঢাকা থেকে ষোড়শী শিল্পী (ছদ্মনাম) এক কিশোরীকে সিলেটে এনেছিল জাহান মিয়া (২৫) ও রোমান মিয়া (২১) নামের দুই মানবপাচারকারী।
অবশেষে একটি মোবাইল নাম্বারেরর সূত্র ধরে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন-সুনামগঞ্জের দিরাই থানার ধল গ্রামের মো. বাজিদ উল্লার ছেলে জাহান মিয়া (২৫) ও আনোয়ারপুর গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে রোমান মিয়া (২১)। এসময় মানবপাচারকারী চক্রের হাত থেকে এক ষোড়শীকেও উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশের দল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন ঢাকার বনানী থানার কর্ইাল বিটিসিএল এলাকার ১৬ বছরের এক মেয়ে মায়ের সাথে রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে মেয়ের ভাই শাহাবুদ্দিন ঢাকার বনানী থানায় ২৬ জুন একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। নং ১০৯৭, তারিখ-২৬/০৬/২০২০।
পরবর্তীতে একটি মোবাইল নাম্বারের সুত্র ধরে মেয়েটি সিলেট শহরে আছে জানতে পারেন মেয়ের ভাই শাহাবুদ্দিন। বুধবার সকালে তিনি তার বোনকে উদ্ধারের জন্য সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের সহায়তা চান। পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম ভিকটিমকে উদ্ধারে শুরু করে অভিযান।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (দক্ষিণ জোন) সিলেট’র অফিসার ইনচার্জ আশীষ কুমার মৈত্রর নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের এসআই সৈয়দ ইমরোজ তারেক একদল ফোর্স নিয়ে শুরু করেন অভিযান। সন্ধ্যা ৬টায় পুলিশের কৌশলে জালালাবাদ থানার নতুনবাজার থেকে মানবপাচারকারী চক্রের হাত থেকে উদ্ধার হয় কিশোরী। এ সময় মানবপাচারকারী চক্রের দুই সদস্য জাহান ও রুমানকে আটক করে ডিবি পুলিশ ।
এ বিষয়ে সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. লুৎফর রহমান জানান, ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় মেয়েটিকে রাতের বেলা একা পেয়ে মানবপাচাকারী চক্রের সদস্য জাহান মিয়া সুকৌশলে সিলেটে এনে চক্রের অন্য সদস্য রোমান মিয়ার নিকট হস্তান্তর করে।
পরে রোমান মিয়া ভিকটিমকে বিক্রির উদ্ধেশ্যে সিলেট নগরীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা শুভরাজ এর হেফাজতে রাখে। ভিকটিমকে দেহব্যবসায় ব্যবহারের উদ্দেশ্যে মানব পাচারকারীচক্র সিলেটে নিয়ে এসেছিল। আটক হওয়া দুই মানবপাচারকারী ও ভিকটিমকে ডিএমপির বনানী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।