সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সাংবাদিক ইসলাম আলী ও নিজামুদ্দিন টিপুর বিরুদ্ধে জামাত-শিবিরের দোসরদের অপপ্রচার এর প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলাবাসী।
সাংবাদিক মো. ইসলাম আলী ও নিজাম উদ্দিন টিপুকে হত্যার হুমকি ও মিথ্যা অপপ্রচার ও বসভিটায় হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠেছে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন।
লামা ফতেহপুরের সরকারি সড়ক রক্ষায় প্রতিবাদ ও সংবাদ প্রচারের জেরে একটি প্রভাবশালী মহল ও চক্রের মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেছে ফতেহপুরের সর্বস্তরের জনগণ। তারা অভিলম্বে হুমকিদাতা ও মিথ্যা অপপ্রচারকারী ও ভূমিখোকোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহŸান জানিয়ে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভায় করেছেন।
সোমবার (২৯জুন) গোয়াইনঘাট উজেলার ৬ নম্বর ফতেহপুর ইউনিয়নে ‘আমরা ফতেহপুরবাসীর’ উদ্যোগে ফতেহপুর বাজার, মানিকগঞ্জ বাজার, বাংলা বাজার, বিন্দাকান্দি বাজার, গুলনি বাজার, লামা ফতেহপুর গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন গোয়াইনঘাট তথা ফতেহপুর ইউনিয়নের কৃতীসন্তান সাংবাদিক মো. ইসলাম ও তাঁর ভাই নিজাম উদ্দিন টিপু ইউনিয়নের মানুষের বিভিন্ন সুখে-দুঃখে এগিয়ে আসেন তারা। বিশেষ করে মো. ইসলাম আলী বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ধান প্রতীকের চেয়েও বেশি ভোট পান। তিনি গরীবের বন্ধু হিসেবে ফতেহপুর ইউনিয়নে পরিচিতি। অসহায়-দরিদ্র মানুষের যেকোনে প্রয়োজনে তিনি নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ান।
স¤প্রতি একটি পরিবার লামা ফতেহপুর গ্রামের সরকারি সড়ক জোরপূর্বকভাবে ‘হাজি আব্দুল গফুর রোড’ নামে নামকরণ করতে চায়। এতে গ্রামবাসীর পক্ষ নেন মো. ইসলাম আলী ও তার ভাই নিজাম উদ্দিন টিপু। ইসলাম আলী গোয়াইনঘাট থানায় গ্রামবাসীর পক্ষে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। রাস্তার নামকরণে সফল হতে না পেরে সন্ত্রাসী চক্র ইসলাম আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে দু বার হামলা করা করেছে। এমনকি তার ভাই সিলেটে অবস্থানরত দৈনিক সবুজ সিলেট পত্রিকার সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন টিপুকেও হত্যার হুমকি প্রদান করে এই সন্ত্রাসী চক্র। আমারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমারা তাদের বলে দিতে চাই ইসলাম আলী গরীবের বন্ধু। তার ডাকে হাজারো মানুষ জড়ো হবে। ইসলাম আলীকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তারা কিছু হলে ফতেহপুর তথা গোয়াইনঘাটবাসী ঘরে বসে থাকবে না।
বক্তারা আরো বলেন, ঘটনার মূলহোতা নারায়াণপুর গ্রামের মরহুম কলিম উল্লার ছেলে মাহতাব উদ্দিন, বদর উদ্দিন বদরুল ও মরহুম ইমদাদ উল্লার ছেলে ছালেহ আহমদ তাদের বাহিনী দিয়ে সাংবাদিক ইসলাম আলীর বসতভিটা দখলের পায়তারা করছে। যা-কোনো অবস্থায় ফতেহপুর ইউনিয়নের মানুষ মেনে নেবে না। ইসলাম আলীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একটি চক্র আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইসলাম আলীর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তাঁর সুনিশ্চিত বিজয়কে বানচাল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। ইসলাম আলীর বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন ফতেহপুরবাসী সাংবাদিক মো. ইসলাম আলীর পাশে রয়েছে এবং থাকবে।
মানববন্ধনগুলোতে উপস্থিত ছিলেন- বড়নগর ভূমিহীন সমিতির সভাপতি রহিম উদ্দিন রম, বড়নগড় সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দিন, যুবলীব নেতা দুলাল আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমদ, হান্নান মিয়া, এন্ডল মিয়া, মোস্তফা মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা হেলা কুর্মি, জিয়াউল ইসলাম, ২য় খন্ড ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আব্দুর রব, শ্রমিক নেতা জসিম উদ্দিন, শ্রমিত নেতা আল আমিন মেম্বার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী, ইমাম উদ্দিন, শ্রমিক নেতা লোকমান হোসেন, ছাত্রনেতা বাবুল হোসেন বাবুল, জসিম উদ্দিন, আতা উল্লাহ, আব্দুল আহাদ নোমান, ইমরান আহমদ জয়, রহিম উদ্দিন, সানোয়ার আহমদ, ছাদিক মিয়া, ছমসুল ইসলাম, দিলবার আহমদ, জাহিদ আহমদ, রুশন মিয়া, ফারুক মিয়া, বিলাল আহমদ, বদরুল পান্ডে, সুফিয়ান আহমদ, মোহাম্মদ আলী, গুলজার আহমদ, জুনেদ আহমদ, বদরুল ইসলাম, শামীম আহমদ, নেহাল আহমদ, বকুল আহমদ, সাজ্জাদ মিয়া, রাহুল আহমদ, কুতুব আহমদ, আব্দুল মালিক, আল আমিন প্রমুখ।