সিলেট ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল, বেড়েছে নদনদীর পানি

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত জুন ২৭, ২০২০, ১২:৩০ অপরাহ্ণ
প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল, বেড়েছে নদনদীর পানি

সিলেটের বার্তা প্রতিবেদক:: টানা বর্ষণ, পাহাড়ি আর উজানের ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। পানি বেড়েছে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারাসহ সকল নদনদীর।

 সুরমা ও সারি নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর সবকটা পয়েন্টে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এদিকে, কানাইঘাটে সুরমা ও জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় সেসব এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানে সড়ক ও গ্রামীণ রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও বাড়ি-ঘর, মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গোয়াইনঘাট উপজেলায় অধিক বর্ষণে গোয়াইনঘাট-জাফলং সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সারি ও পিয়াইন নদী দিয়ে বিপদসীমার উপরে পানি প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমাদের গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে পড়েছেন বলে জানান তিনি। এদিকে, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়িÑঘর, গ্রামীণ সড়ক, বীজতলা তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, ছাতক উপজেলায়ও পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন আমাদের উপজেলা সংবাদদাতারা। এদিকে, বৃষ্টি আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিভাগ সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে শঙ্কাও করছেন স্থানীয়রা। এদিকে, বন্যা মোকাবেলায় সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এনডিসি (নেজারত ডেপুটি কালেক্টর) মো. এরশাদ মিয়া। তিনি জানান, প্রতিটি উপজেলায় ত্রাণ মজুদ আছে। আজ শনিবার তারা আরো বরাদ্দ দিবেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কোন চাহিদা পাঠালে বরাদ্দ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

হাইড্রোলজি বিভাগ জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১২.৭৫ সেন্টিমিটার। এছাড়া, সন্ধ্যা ৬টায় জৈন্তাপুরে সারিঘাটে সারি নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সিলেটে সুরমা এবং আমলসিদে শেওলা ও কুশিয়ারা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পাউবো জানায়, প্রতিটি পয়েন্টে পানির উচ্চতা পূর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়াও ছাতকে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, চো নদীর পানি ১শ’ সেন্টিমিটার এবং পিয়াইন নদীর পানি ১২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অফিস সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের তুলনায় এখনো বৃষ্টি কম হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যেখানে বৃষ্টি হওয়ার কথা ৮৩৫ মিলিমিটার। আগামী কয়েক দিন এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তারপর কিছুটা কমে আসবে। তবে ১, ২ ও ৩ জুলাই ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের গোয়াইনঘাট, জৈন্তা, কানাইঘাট, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক এবং এর উজানে ভারতীয় এলাকায় বৃষ্টি বেশি হবে। তাই এসব এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে। পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, সুরমা ও সারি নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বৃষ্টিপাত আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে। যেকোন সময় যেকোন প্রয়োজনে কাজ করতে পারবে।

গোয়াইনঘাট : গত দুইদিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সারি ও পিয়াইন নদী দিয়ে নেমে আসা পানিতে উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সারি-গোয়াইনঘাট সড়ক ও গোয়াইনঘাট জাফলং সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে অনেক এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এছাড়া প্লাবনে কয়েক শতাধিক ফিশারির মাছ ভেসে গেছে। সরেজমিন গিয়ে এবং বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের জাফলং চা বাগান, বাউরবাগ হাওর, আসামপাড়া হাওর, পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের নাইন্দা, তীতকুল্লি, বুধিগাঁও, খাষ, দাড়াইল, বাংলাইন ও লাতু হাওর, পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের সাতাইন, পাঁচপাড়া, পুকাশহাওসহ উপজেলার বিভিন্ন হাওর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামীণ ছোট বড় ও নিচু কাঁচা এবং পাকা সকল রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে সারি ও পিয়াইন নদীতে বিপদসীমার উপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গোয়ানঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব জানিয়েছেন, উপজেলার সিংহভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সারি ও পিয়াইন নদী দিয়ে বিপদসীমার উপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

কানাইঘাট : কানাইঘাট উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলা কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। লোভা ও সুরমা নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ১নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব, ২নং লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম, ৫নং বড় চতুল, কানাইঘাট পৌরসভা, ৯নং রাজাগঞ্জ, ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে অনেক স্থানে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে।

জৈন্তাপুর : অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। উপজেলার সারি নদীর পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বড়গাং, শ্রীপুর, রাংপানি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান জানিয়েছেন, জৈন্তাপুর উপজেলার কেন্দ্রী, শেওলারটুক, বাওন হাওর, বাউরভাগ, লক্ষ্মীপুর, বিরাইমারা, লামনীগ্রাম, কাটাখাল গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। গ্রামীণ জনপদের অনেক রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মো: ইয়াহিয়া জানান, নিজপাট ইউনিয়নের উপজেলা সদরের বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকেইপাড়া নয়াবাড়ি, জাঙ্গলহাটি সহ বিভিন্ন এলাকা এবং পশ্চিম গৌরিসংকর, ডিবির হাওর, কামরাঙ্গীখেল, বাইরাখেল, হর্নি, কালিঞ্জীবাড়ি, দিগারাইল, নয়াগাতি, বারগতি, হেলিরাই, গুয়াবাড়ি সহ আরো অনেক এলাকায় পানি প্রবেশ করে। অনেকেরই বসতঘরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ জানান, ইউনিয়নের কাটুয়াকান্দি, কাপনাকান্দি শিখার খাঁ গ্রামের অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকেই নৌকা দিয়ে চলাচল করছে। দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার জানান, দরবস্ত ইউনিয়ন নি¤œাঞ্চলের বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়নের সেনগ্রাম, গর্দ্দনা, হাজারী সেনগ্রাম, তেলিজুরী, ছাত্তারখাই গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। কয়েকটি গ্রামীণ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, ফতেপুর ইউনিয়নের বালিপাড়া, লামাশ্যামপুর, দলাইপাড়া এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল জানিয়েছেন তার ইউনিয়নের নয়াখেল, বালিদাড়া, থুবাং, ভিত্রিখেল, সরুখেল সহ আরো অনেক গ্রামে পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে চারিকাটা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। আকস্মিক বন্যায় মাছের ঘের, বীজতলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে মৎস্যজীবী ও কৃষকরা জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ। তিনি বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন মানিক জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের উচু এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে বন্যার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ : ধলাই নদী দিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। দুপুরে উপজেলা সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ঢালারপার মোস্তফানগরে বাঁধ এবং চানপুর গ্রামের বেড়িবাঁধে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। চানপুর গ্রামের তিনটি বাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে। ইউএনও সুমন আচার্য জানান, দুপুরে তারা স্পিডবোটযোগে বন্যা কবলিত বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেছেন।

ছাতক : ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে সৈয়দ হারুনুর রশিদ জানান, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতক উপজেলার বিভিন্ন স্থান প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার, চেলা নদীর ১শ’ সেন্টিমিটার এবং পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার ১২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, স্থানীয় ছোট নদী ডাউকি, বোকা নদী ও ভটের খালেও পানি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে ইতিমধ্যে উপজেলার সদর ইউনিয়ন, ইসলামপুর ইউনিয়ন, ছৈলা আফজালাবাদ, চরমহল্লাহ ও জাউয়া ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে, সারাদিন বৃষ্টিপাতে উপজেলার বালু-পাথরের ব্যবসা বন্ধ ছিল বলে জানান তিনি।

দোয়ারাবাজার: দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা তাজুল ইসলাম জানান, গত দু’দিনের টানা ভারি বর্ষণ ও সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে সুরমা, চেলা, মরা চেলা, খাসিয়ামারা, কালিউরি, চিলাই, ধূমখালী ও ছাগলচোরাসহ উপজেলার সকল হাওর ও খাল-বিলে হু হু করে পানি বৃদ্ধির ফলে দোয়ারাবাজারে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে গতকাল শুক্রবার দুপুরে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সম্মুখস্থ সুরমা নদীতে ধসে পড়েছে আব্দুল হেকিম ও আব্দুল মছব্বিরের দুটি দোকান। ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে উপজেলার প্রবেশ মুখে দোয়ারাবাজার-সুরমা, বগুলা-লক্ষ্মীপুর সড়কটি। সুরমা ইউনিয়নের মহব্বতপুর বাজার তলিয়ে গিয়ে এখন হাঁটু পানি। এছাড়া উপজেলা সদরের সাথে সুরমা, বগুলা, লক্ষ্মীপুর, বাংলাবাজার (আংশিক) ও নরসিংপুর ইউনিয়বাসীর সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে, বৃষ্টির পানিতে উপজেলা জুড়ে অধিকাংশ আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় জমি চাষাবাদ ও বীজ বপনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। উপজেলার দোয়ারাবাজার সদর ও সুরমা ইউনিয়নের মৎস্য খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এছাড়া জমিতে পানি উঠায় উপজেলার বগুলাবাজার, লক্ষ্মীপুর, বাংলাবাজার ও নরসিংপুর ইউনিয়নের সবজি চাষীরাও পড়েছেন বিপাকে।


শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০