সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সিলেটের প্রখ্যাত আলেম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি শায়খুল হাদিস আব্দুস শহীদ শায়খে গলমুকাপনী ইন্তেকাল করেছেন।
তিনি বুধবার দিবাগত রাত (২৫ জুন) আড়াইটার দিকে সিলেট নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
মরহুমের নাতিন জামাই মাওলানা আবু সালেহ আরিফ মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বুধবার বাদ জোহর (বেলা আড়াইটায়) মরহুমের নামাজে জানাজা সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গলমুকাপন মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
শায়খ আব্দুস শহীদ গলমুকাপনী দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর। ৪ ছেলে ও ৬ মেয়েসহ হাজার হাজার ছাত্র, ভক্ত এবং মুরিদান রেখে গেছেন তিনি।
শায়খ আব্দুস শহীদ ১৯৪১ সালে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গলমুকাপন গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে গলমুকাপন মাদরাসায় ভর্তি হন। পরে জামেয়া হোসাইনিয়া গহরপুর থেকে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন।
শায়খ আব্দুস শহীদ সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জামেয়া দারুস সুন্নাহ গলমুকাপনের মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস ছিলেন। ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি। ১৯৯৬ সালে সিলেট-২ আসন থেকে জমিয়তের প্রার্থী হিসেবে খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনও করেছিলেন।
প্রখ্যাত আলেম শায়খ লুৎফুর রহমান বর্নভী রাহ.-এর খলিফা ও বেয়াই ছিলেন তিনি। এছাড়া শায়খ আব্দুল করীম কৌড়িয়া রাহ. ও শায়খ তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী রাহ.-এরও বেয়াই ছিলেন শায়খ আব্দুস শহীদ।
১৩৮৪ হিজরি সন থেকে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত গলমুকাপন মাদরাসায় শিক্ষকতার মহান পেশায় যুক্ত ছিলেন। তার চাচা মাওলানা ফখরুদ্দীন (র) এর ইন্তেকালের পর থেকে তিনি ওই মাদরাসার মুহতামিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। সহজ-সরল দুনিয়াবিমুখ ছিলেন শায়খ আব্দুস শহীদ। জীবনভর বিতর্কের উর্ধ্বে উঠে ইসলামের খেদমত করে গেছেন তিনি।