সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: লকডাউন করা হয়েছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল এই দুই উপজেলার ১২টি এলাকা।
লকডাউনকৃত এলাকাসমূহ হচ্ছে কুলাউড়া পৌরসভার মাগুরা ও মনসুর এলাকা, কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর ও এবং বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর গ্রাম।
অপর দিকে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কালিঘাট সড়কের আধা কিলোমিটার এলাকা ও শ্যামলী এলাকা, শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের ক্যাথলিক মিশন রোড, রুপসপুর, সবুজবাগ,মুসলিমবাগ, লালবাগ, ও বিরাইমপুর রেড জোন চিহিৃত করে লকডাউন করা হয়েছে।
এসব এলাকায় ফার্মেসী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও লকডাউন এলাকায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। রাতে ওই সব এলাকায় প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং করে জানানো হয়।
মৌলভীবাজার জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ১১৮ জন, করোনায় মৃত্যুবরণ করেন ৬ জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।
সরকারী হিসেবে ৪ জন হলেও ডাকায় আওয়ামীলীগ নেতা ও সিলেটে জুড়ির একজন মারা যান।
রিপোর্ট আসাতে দীর্ঘ সুত্রিতার কারনে কমিউনিটি আক্রান্ত বেড়েই চলেছে। যে সব এলাকা রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে সেসব এলকার অনেকেই ইতিমধ্যে আরোগ্য লাভ করেছেন বলে জানাগেছে। জেলায় পিসিআর ল্যাব স্থাপন ও আইসিইউ স্থাপনের দাবীও জোরালো হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাহাব উদ্দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবরে ও সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন সচিব বরাবরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন।
উপজেলা ওয়ারী আক্রান্তের হিসেব হচ্ছে, সদরে ৫ জন, ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ৮৩ জন, রাজনগরে ১৫ জন, কুলাউড়ায় ৬০ জন, বড়লেখায় ২৫ জন, কমলগঞ্জে ৩২ জ, শ্রীমঙ্গলে ৪০ জন ও জুড়িতে ২৪ জন। আরোগ্য লাভ করেছেন ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ২৯ জন, রাজনগরে ৪ জন, কুলাউড়ায় ৩০ জন, বড়লেখায় ৬ জন, কমলগঞ্জে ১৫ জন, শ্রীমঙ্গলে ২৩ জন ও জুড়িতে ১১ জন।