নিজস্ব প্রতিবেদক:: মা-বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
আজ ১৫ জুন, বেলা ৩ টায় সিলেট নগরীর কুমারপাড়াস্থ হযরত মানিকপীর (রহ.)র গোরস্তানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
গোরস্তান প্রাঙ্গনে তার ২য় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বেলা পৌণে ২টার দিকে জোহরের নামাজের পর কামরানের বাসার পাশের ছড়ারপার জামে মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আমৃত্যু এই মসজিদের মোতাওয়াল্লী ছিলেন। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নগরীর মানিকপীরের টিলায়। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে।
ছড়ারপার জামে মসজিদে কামরানের জানাজা পড়ান তাঁর ভাতিজা হাফিজ ইমতিয়াজ আহমদ আফজাল।
এরআগে, বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে কামরানের মরদেহবাহী এম্বুলেন্সটি ছড়ারপারস্থ বাসায় প্রবেশ করে। এম্বুলেন্সটি প্রবেশের সাথে সাথেই কান্নায় ভেঙে পড়েন দলীয় নেতাকর্মী ও প্রতিবেশীরা। পরে বাসায় গোসল করিয়ে মরদেহ মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়।
রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সাবেক এ মেয়রের ফলাফল পজিটিভ আসে। এদিন থেকে বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরদিন ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছিল না। পরে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় গত ৭ জুন রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয় তাঁকে।