
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: মৌলভীবাজারে মহামারী করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত আরও ১৩জন। আক্রন্তদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। এনিয়ে জেলাটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯১ জনে দাঁড়িয়েছে।এ পর্যন্ত মরণব্যধি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন।
নতুনদের মধ্যে, কুলাউড়ায় পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৫ জন, রাজনগরে ১ জন, বড়লেখায় ২ জন, কমলগঞ্জে নতুন ১ জন ও পুরাতন একজন, শ্রীমঙ্গলে ১জন ও ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।জেলার সবক’টি উপজেলার সর্বমোট আক্রান্ত যথাক্রমে, জেলা সদরে ১০ জন, রাজনগরে ১০ জন, বড়লেখায় ১৭ জন, জুড়িতে ১৪ জন, কুলাউড়ায় ৩৯ জন, কমলগঞ্জে ২৯ জন ও শ্রীমঙ্গলে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সদর হাসপাতালে ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলে ৩৭ জন আক্রান্ত রয়েছেন। এরমধ্যে শ্রীমঙ্গলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন, কমলগঞ্জে ১ জন ও রাজনগরে ১ জন, জুড়িতে ১ ও সদরের ১ জন মারা গেছেন। নতুন ১৩ টির বাহিরে কমলহগঞ্জে পূর্বের একজনের রিপোর্ট আবারও পজিটিভ এসছে।
জুড়ির গোয়াল বাড়ি এলাকার একজন সিলেটে সৈয়দ শামছুদ্দিন হাসপাতালে ও জেলা সদরের আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মফচ্ছিল আলী ঢাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জাতীয়ভাবে সৈয়দ মফচ্ছিল আলীকে মৌলভীবাজারে গণণা করলেও সিভিল সার্জন বলছেন যেহেতু তাদের দু’জনের সেম্পুল ঢাকা ও সিলেটে কালেকশন করা হয়েছে তাই মৌলভীবাজার জেলার হিসেবে তা আসবেনা। এদিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে জেলায় এপর্যন্ত মহিলা, চা শ্রমিক ও শিশুসহ ২০ জন মারা গেছেন।জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ২ জন ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সুস্থ্য হয়ে এপর্যন্ত বাড়ি বা কর্মস্থলে ফিরেছেন পুলিশ, ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিকসহ ৬৯ জন।মোট রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছিল ৩ হাজার ১ শ ৬৬টি। তারমধ্যে গত ৪ তারিখ পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে ২ হাজার ৪শ ৮২টি। এখনো রিপোর্ট আসেনি ৬ শ ৮৪টি। সর্বশেষ আজ শনিবার রিপোর্ট এসেছে গত ৪ জুনের। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের পূর্বে কোনও রিপোর্টই আসছেনা।
তে করে কমিউনিটি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।সিভিল সার্জন ডা.তউহিদ আহমেদ জানান, রিপোর্ট সংগ্রহ করে ঢাকা ল্যারেটরী ইনস্টিটিউট, মেডিসিন এন্ড রেফার অব সেন্টারে পাঠানো হয়, সেখান থেকেই রিপোর্ট আসে। তিনি আরও বলেন, দেরিতে রিপোর্ট আসার কারনে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু করতে দেরী হচ্ছে, এতে করে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে তিনি বলেন, যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে তাদের আলাদাভাবে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কেহ মানছে আবার কেহ মানছে না। জনগণকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে চলতে হবে বলেও জানান তিনি।