সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সিলেট নগরীর ভার্তখলা ও টিলাগড়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে চিহৃিত দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশ।
আটককৃতরা হচ্ছেন- দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা (স্বর্ণালী-৬০)-এর মৃত সোয়াব মিয়ার ছেলে মির্জা জনি আহমদ (৩৫) ও এসএমপি’র শাহপরাণ থানাধীন টিলাগড় রাজপাড়া (সুরভী-১৮/২)-এর মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জামান যুবায়ের (৩৬)। যুবায়েরের মূল বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট থানার দর্জিমাটি গ্রামে।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) ভোররাতে তাদের আটক করা হয়। এসময় ছিনতাইকৃত ২১ হাজার ৫শ’ টাকা-মোবাইল এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) মো. জেদান আল মুসা জানান, গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট নগরের ধোপাদিঘীরপাড়স্থ হাফিজ কমপ্লেক্সের সামনে থেকে চাকু দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং লোহার রড দিয়ে আঘাত করে আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. আবু সুফিয়ানের কাছ থেকে ২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও তার ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয় দুইজন ছিনতাইকারী।
খবর পেয়ে পুলিশ এই ছিনতাইয়ের টাকা উদ্ধার ও ছিনতাইকারীদের ধরতে তৎপর হয়। অবশেষে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নির্দেশনায় সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) ভোররাত সাড়ে ৩টার দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকা থেকে মির্জা জনি আহমদ ও ভোর ৫টায় টিলাগড় এলাকা থেকে আসাদুজ্জামান যুবায়েরকে আটক করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি লাল-কালো-সাদা রংয়ের হিরো হোন্ডা মোটর সাইকেল (রেজি: নং- সিলেট-ল-১১-১৮৫৭), ধারালো চাকু ও কয়েকটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে পুলিশ।
আটক মির্জা জনি আহমদের বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এদিকে, এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় মো. আবু সুফিয়ান বাদি হয়ে আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার ভিত্তিতে মির্জা জনি আহমদ ও আসাদুজ্জামান যুবায়েরকে আজ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।