সিলেট ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

দেশে করোনার ৯৪দিনে মৃত্যু-সনাক্তের ডাবল রেকর্ড

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত জুন ৯, ২০২০, ০৪:২৩ অপরাহ্ণ
দেশে করোনার ৯৪দিনে মৃত্যু-সনাক্তের ডাবল রেকর্ড

সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: দেশে মহামারী করোনা সংক্রমণের ৯৪তম দিনে মৃত্যু-সনাক্তের ডাবল রেকর্ড হয়েছে।

বিগত দিনের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে গত ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫ জন।এ নিয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ৯৭৫ জনে।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রামে ১১, সিলেটের ২ রাজশাহী ২ এবং রংপুর ২ জন।

বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ৩ হাজার ১৭১ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৭৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৫ হাজার ৩৩৬ জন।

মঙ্গলবার (৯ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মোট ৫৫টি ল্যাব থেকে গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১৪ হাজার ৬৬৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৫ টি।

নমুনা বিবেচনায় গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

মৃত্যু বিবেচনায় পুরুষের হার ৭৭ শতাংশ এবং নারী ২৩ শতাংশ। শনাক্তের বিবেচনায় পুরুষের হার ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেয়া হয়েছে ৫৫৭ জনকে। আইসোলেশনের আছেন ১২ হাজার ৪২৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২১৬ জন। এখন পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৩৫ জন।

সোমবার (৮ জুন) শনাক্ত হয় ২ হাজার ৭৩৫ ও মারা যায় ৪২ জন।

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম কোনও করোনা রোগী মারা যায়।

দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এর পর ধারবাহিকভাবে বাড়তে থাকে শনাক্তের সংখ্যা। চলতি মাসের ১ জুন ২,৩৮১, ২ জুন ২,৯১১, ৩ জুন ২৬৯৫, ৪ জুন ২৪২৩, ৫ জুন ২,৮২৮, ৬ জুন ২,৬৩৫, ৭ জুন ২,৭৪৩ ও ৮ জুন ২,৭৩৫ জন শনাক্ত হয়।

দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি। এ ছুটি আরেক দফা বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়।

জনসন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৯ জুন) সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৬ হাজার ৪১৩ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ লাখ ৯৭ হাজার ৭১৭ জন।

জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭ হাজার ৪১২ জন করোনাভাইরাসের রোগী নিয়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে ওঠে এসেছে ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৭ হাজার ১৩৪ জন।

অন্যান্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার তলিকার শুরুতে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৬৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শুধু নিউ ইয়র্ক রাজ্যেই মারা গেছেন ৩০ হাজার ৪১৭ জন।

করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই ইতালিতে ৩৩ হাজার ৯৬৪ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ২১২ জন এবং স্পেনে ২৭ হাজার ১৩৬ জন মারা গেছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।


শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০