মাধবপুর প্রতিনিধি:: হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিজঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দহে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার ইটাখোলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আজ ৮ জুন, সোমবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার খড়কি গ্রামের আব্দুস শহীদের মেয়ে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিবার কল্যান সহকারী (ফ্যামেলি ওয়েল ফেয়ার এসিষ্ট্যান্ড) হাসিনা আক্তার হাসিকে প্রায় ১১ বছর পূর্বে ভালবেসে বিয়ে করে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ইটাখেলা গ্রামের হেবজুর রহমনের ছেলে সাইফুর রহমান মুর্শেদ। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। এর মধ্যে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
রবিবার রাতে কোন এক সময় ঘরের ভিতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে সাইফুর রহমান মুর্শেদ আত্মহত্যা করে। সকালে স্থানীয় লোকজন ঘরের দরজা বন্ধ দেখে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ।
সাইফুর রহমান মুর্শেদের বড় ভাই শফিকুর রহমান শামিম জানান, সাইফুরের স্ত্রীর পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। এই পরকিয়ার সম্পর্কের কারণে মুর্শেদ মারা গেছে। তার স্ত্রী এই ঘটনার জন্য দায়ি।
হাসিনা আক্তার হাসির ভাই আমিরুল ইসলাম জানান, সাইফুর রহমান মুর্শেদ ও হাসিনা আক্তার হাসি প্রেম করে বিয়ে করে। কিন্তু সাইফুর রহমান মুর্শেদ নেশাগ্রস্ত ছিল।
হাসিনা মুর্শেদকে ব্যবসার করার জন্য লোন পর্যন্ত নিয়ে দেয়। মুর্শেদ নেশা করার কারণে হাসি প্রায়ই বাবার বাড়িতে থাকত। ঘটনার খবর পেয়ে আমিরুল তার বোনকে নিয়ে মুর্শেদের বাড়িতে যান। পরে মুর্শেদের বাড়ির লোকজন হাসিনাকে এই ঘটনায় ফাঁসাতে পরিকল্পনা করে।
মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম দস্তগীর আাহামেদ জানান, সাইফুর রহমান মুর্শেদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। তবে মুর্শেদের স্ত্রী হাসিনা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদরে জন্য আটক করা হয়েছে।