সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সিলেটে প্রবাসী চাচার টাকা ছিনতাই করতে ‘ছিনতাই’ নাটক মঞ্চস্থ করেও শেষ রক্ষা হল না ভাতিজার।
পুলিশের অভিযানে ছিনতাইকৃত টাকাসহ শ্রীঘরে যেতে হল ভাতিজাকে।
পুলিশের জেরার মুখে আবদুল হক নামের ওই ভাতিজা স্বীকার করেছে ছিনতাই নাটকের কথা। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে উদ্ধার করা হয়েছে ৩ লাখ ১ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় রবিবার রাতে আবদুল হকের মামাতো ভাই রিদানুল ইসলাম আজাদ বাদি হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আবদুল হক ও রাশেদ নামের দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার তাদেরকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার আসামীরা হলো- সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ নতুন বাংলাবাজারের মো. রমজান আলীর ছেলে আবদুল হক (১৯), একই উপজেলার নোয়ারাইর মৃত শামসুদ্দোহা খানের ছেলে আবদুল্লাহ আল সাদী (১৯), সিলেট নগরীর ব্রাহ্মনশাসন উদ্দিপন বি/৪ নম্বর বাসার মারুফ আহমদের ছেলে কামরান মিয়া (২০) ও জালালাবাদ থানার ডলিয়া গ্রামের রাশেদ (২০)।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, রবিবার দুপুরে পাঠানটুলা রূপালী ব্যাংক থেকে বিদেশ থেকে দূর সম্পর্কের এক চাচার পাঠানো ৩ লাখ ৬ হাজার টাকা তুলে আবদুল হক। এরপর ৫১ হাজার টাকা তার ছোট ভাই নাজমুল হকের কাছে দেয়। ব্যাংক থেকে নিচে নামার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার সহযোগী আবদুল্লাহ আল সাদী, কামরান মিয়া ও রাশেদ মিলে আবদুল হককে অপহরণের নাটক করে। পরে ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটে ছিনতাইর নাটক সাজায় আবদুল হক।
পুলিশ ছিনতাইর খবর পেয়ে তদন্তে নেমে আবদুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল হক ছিনতাইর নাটক সাজানোর কথা স্বীকার করে। পরে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘর থেকে আবদুল হকের হেফাজতে থাকা আড়াই লাখ টাকা ও তার ছোট ভাইয়ের কাছে রাখা ৫১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে আবদুল হক জানায়, চাচার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে সে এই নাটক সাজিয়েছে।
এ ঘটনায় আবদুল হকের মামাতো ভাই ছাতক উপজেলার মোহাম্মদপুরের রিদানুল ইসলাম আজাদ বাদি হয়ে সিলেট কোতোয়ালী থানায় চারজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।