সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: উপসর্গ ছাড়াই সিলেটের জৈন্তাপুরে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।নতুন করে এ উপজেলায আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন রয়েছ।
উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। নতুন আক্রান্ত ১৪জন, বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭ জন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে ৩৬ জন, সুস্থ্য হয়ে বাড়ীতে অবস্থান করছে ২জন, মৃত্যুবরণ করছে ১জন। ১ জুন থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে ৬০ জনের।
উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সূত্রে জানায়, গত ২দিনে নতুন করে আক্রান্ত হলেন, ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বাউরভাগ কাটাখাল গ্রামের ফরিদা বেগম, নিজপাট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ৮নং ওয়াডের সদস্য মোঃ ইয়াহিয়া’র শশুর আবুল কালাম, স্ত্রী ফেরদৌস বেগম, ছেলে আহমদ হোসাইন, কানাইঘাট উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের এএম ওমর ফয়সল আহমদ। ঢুলটিরপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিজপাট মাহুতহাটি গ্রামের জসিম উদ্দিন, তার ছেলে মোঃ সালাহ উদ্দিন রুবেল, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কর্মচারী যশপুর গ্রামের মানিক মিয়া, একই অফিসের ফতেপুর (হরিপুর) ইউনিয়নের হেমু মাঝরটুক গ্রামের মোঃ মুহিব উল্লাহ, গোয়াইনঘাট উপজেলার খাগড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজপাট নয়াবাড়ী গ্রামের সুরজিৎ দেব, জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষনা কেন্দ্রের কর্মচারী মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, দরবস্ত ইউনিয়নের চাল্লাইন গ্রামের ও দরবস্ত বাজারের চাউল ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন, কানাইঘাট উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী দরবস্ত ইউনিয়নের চাক্তা গ্রামের ইয়াজুল আমিন ছোট ভাইর স্ত্রী মিসের্স আফিয়া পারভীন, মেয়ে তাহমিনা ইয়াছমিন, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কামাল আহমদ।
কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সর্বশেষ জৈন্তাপুর উপজেলায় ৪ জুন পর্যন্ত প্রায় ৩ শত জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৬ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তার মধ্যে নতুন আক্রান্ত ১৪ জন, বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭ জন, হোম কোয়ারেন্টাইনে হতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৩৬ জন, সুস্থ্য হয়ে বাড়ীতে অবস্থান করছে ২জন, মৃত্যুবরণ করছে ১ জন। এছাড়া সিলেট শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩ জন, নর্থ ইষ্ট হাসপাতালে ১ জন, এবং জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ৩জন।
উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার প্রতিবেদককে জানান, ৫ জুন শুক্রবার বন্দ থাকায় কোন নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। নতুন করে ১৪ আক্রান্ত, ৬০জনের রেজাল্টের অপেক্ষায়। আক্রান্তরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন আছেন।