সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষী না দেওয়ার জন্য ধর্ষকের পরিবার কর্তৃক হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলার সাক্ষী রুহুল আমিন মঙ্গলবার (২ জুন) কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং-৮১) করেছেন।
উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর ধর্ষকের পিতা ও স্বজনরা এখন মামলার সাক্ষীকে সাক্ষী না দেওয়ার জন্য নানা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগে তিনি এই সাধারণ ডায়েরি করেন।
জানা যায়, উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর কলাবাড়ি গ্রামের ভাড়াটিয়া আলিম মিয়ার স্ত্রী গত ২৪ মে তার বসতঘরে ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী গত ২৭ মে ধর্ষণের অভিযোগ এনে জাহেদ মিয়ার (২৫) বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
জাহেদ মিয়া উত্তর কলাবাড়ি গ্রামের হাজী আমির হোসেনের ছেলে। তবে ধর্ষক জাহেদ পলাতক থাকলেও তার পিতা ও স্বজনরা মামলার সাক্ষীকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। উক্ত মামলায় সাক্ষী না দেওয়ার জন্য একই গ্রামের বাসিন্দা আঃ হাফিজের ছেলে রুহুল আমিনকে ধর্ষক জাহেদের পিতা হাজী আমির হোসেন ও তার স্বজন অদুদ মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন এবং অফিক মিয়া প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। যে কারণে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২ জুন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রুহুল আমিন। যার নং- ৮১, তাং- ০২.০৬.২০২০।
এবিষয়ে রুহুল আমিন জানান, ওই গৃহবধূর ধর্ষণের মামলায় আমি সাক্ষী হওয়াতে ধর্ষকের পিতা ও স্বজনরা প্রতিনিয়ত আমাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। মামলা দায়েরের পর সাক্ষী হিসেবে যখন তারা আমার নাম শুনতে পারে তখন থেকে নানাভাবে আমাকে তারা হুমকিসহ বিভিন্ন প্রলোভনও দেখাতে থাকে। যে কারণে বাড়ির বাইরে যেতেও ভয় পাচ্ছি আমি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রুহুল আমিন ওই মামলার তিন নম্বর সাক্ষী। মামলা দায়েরের পর থেকে সাক্ষীর জানমালের ক্ষতি করার জন্য আসামীর পিতা ও স্বজনরা উঠেপড়ে লেগেছে। যে কারণে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই সাক্ষী থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। স্থানীয়রা, ধর্ষণ ও হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ধর্ষক জাহেদকে গ্রেফতার পূর্বক তার পিতা ও স্বজনদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসাসহ সুষ্ঠু বিচারের দাবিও জানান তারা।
এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) রজিউল্লাহ্ খান বলেন, ধর্ষক জাহেদ পলাতক রয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। মামলার সাক্ষী রুহুল আমিনের সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমানিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।