নিজস্ব প্রতিবেদক:: মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তাকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। এতে মারা যান ওয়ার্কসপকর্মী আমীর হোসেন (২৫)।
আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে এ তথ্য দিয়েছে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি। আদালত ১৬৪ ধারায় নেয়া তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
এ তথ্য জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র।
তিনি বলেন, ২৬ মে নগরীর সুবিদবাজারে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আমিরের মোবাইল-ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। এসময় আমির হোসেন ছিনতাইকারীদের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু করলে এক ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করে তাকে ফেলে দিয়ে মোবাইল-ফোন নিয়ে চলে যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আমির হোসেন মারা যান।
তিনি বলেন, এরপর এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে তদন্ত-ভার আমার উপর পড়ে। আমি তদন্তের শুরুতে আশেপাশে প্রায় ২০-২৫ টি সিসি ক্যামেরার সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। তবে খুনের সময় কারেন্ট না থাকায় বিষয়টি ধরা পড়েনি।
এরপর একটি সিএনজি অটোরিকশার নাম্বার দেখা গেলে সেটি দেখেই তদন্ত এগোয়। পরে মোবাইল নাম্বারসহ অন্যান্য বিষয় মিলিয়ে আমরা কোতোয়ালী টিম দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করি।
এদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ পিপিএমের নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ কমিশনার নির্মলেন্দু চক্রবর্ত্তী, কোতায়ালি থানারভিারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা, তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র, এসআই দেবাশীষ দেব, এসআই মো. ইবাদুল্লাহ, এএসআই সাজ্জাদুর রহমান, এএসআই তৈয়বুর রহমান, এএসআই মানিক মিয়া অভিযানে অংশ নেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২ জুন) বিকেল সাড়ে ৪ টায় কদমতলী পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকার মির্জা আফতাবুল ইসলামের ছেলে মির্জা আতিক (২৬) এবং মোগলাবাজারের টিলাপাড়া এলাকার মো. শামছু মিয়ার ছেলে আওলাদ হোসেন (৩০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সাথে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে সিলেট নগরীতে দুর্বৃত্তের হাতে আমির হোসেন (২৫) নামে এক যুবক খুন হয়। সে নগরীর সুবিদবাজার এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে।