নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে সংগ্রহ করা কল্যাণ তহবিলের টাকা নিয়ে আজ ২ জুন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলে কদমতলী বাস টার্মিনালে।
এসময় দমতলী বাস স্ট্যান্ডে রাখা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে উত্তেজিত শ্রমিকরা।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের
এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে র্যাব-৯ ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে বিকেল সোয়া পাঁচটায় দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল বলেন, আমরা শর্টগানের গুলি ও লাটিপেটা করে বিকেল ৫ টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ,, ঈদের আগে থেকে কল্যাণ তহবিলের অর্থ নিয়ে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকের সঙ্গে সাধারণ শ্রমিকদের দ্বন্দ্ব ছিলো। শ্রমিকেরা কল্যাণ তহবিলের অর্থ করোনায় কর্মহীনদের মধ্যে বিতরণের অনুরোধ করলে সেলিম আহমদ ফলিক তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মঙ্গলবার দুপুরে কদমতলী বাস স্ট্যান্ডে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এনে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিল শেষে শ্রমিকরা এনা পরিবহনের কাউন্টারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ফলিকের অফিস লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মিতালী শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলাদ আহমদ রিয়াদ জানান, শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় আড়াই কোটি টাকা ছিল। কিন্তু সেলিম আহমদ ফলিক আমাদের মাত্র ৪১ লাখ টাকার হিসাব দিয়েছেন। বাকি ২ কোটি টাকার হিসেব চাইলে তিনি শ্রমিকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে ফলিককে প্রতিহত করা ঘোষণা দেয়।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলের পুরো টাকার হিসাব না দিলে তাকে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সিলেট সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক ব্যস্ত অছেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।
সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার বলেন, আমরা দুইপক্ষকে নিয়ে বসার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু তারা ছোট একটা বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে জড়ালেন। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সমঝোতা করার জন্য।