সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানা পুলিশের সহযোগীতায় মানসিক রোগী নার্গিস আক্তার পেল নিজ পরিবারের সন্ধান।
উপজেলার রসুলগঞ্জবাজারে একজন মানসিক রোগীকে নিরব-নিশ্চুপে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। কারো সাথে কথা বলেন না। কোন প্রশ্নের জবাব দেন না তিনি। বিষয়টি জগন্নাথপুর থানার কনস্টেবল আব্দুল হালিম বিষটি অবহিত করেন। থানা পুলিশের সহযোগীতায় দীর্ঘ এক বছর পর মানসিক রোগী খোঁজ পেল তার পরিবার।
জানা যায়, উপজেলার পাটলি ইউনিয়নে রসুলগঞ্জ বাজার দীর্ঘ এক বছর ধরে নার্গিস আক্তার নামে এক মানসিক রোগী বাজারে বিভিন্ন গলিতে ভাসমান অবস্থায় থাকতো। জগনাথপুর থানার কনস্টেবল আব্দুল হালিম কর্মরত কাজে বাজারে গেলে এই মানসিক রোগী তাকে দেখতে পায়। তিনি তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে তার নিজ গ্রাম আখাউড়া থানাতে যোগাযোগ করে মহিলা সন্ধান পান।
পরে জানতে পারেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার মনিঅন্দ গ্রামের দিনমজুর জহুর মিয়ার মেয়ে নার্গিস আক্তার নার্গিস আক্তারের বিয়ে হয়েছিল বাহ্মনবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার কামাল মিয়ার সাথে নার্গিস আক্তারের এক ছেলের সবুজ এক মেয়ে জান্নাত।
মানসিক রোগী নার্গিস আক্তারের সাত বছরের মেয়ে জান্নাত কে দেখে কোলে নিয়ে আদর করতে শুরু করেন। খুলে নিয়েই বলতে শুরু করেন মা তুমি কই ছিলে এতদিন তোকে খুঁজতে খুঁজতে আমি এই জায়গায়। খোঁজ পাওয়ার পর ৩১ মে বিকাল ৪টায় বাজারের জনসাধারণের সামনে কনস্টেবল আব্দুল হালিম মানসিক রোগী পিতার হাতে তুলে দেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার চৌধুরী সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মানসিক রোগী নার্গিস আক্তারকে পিতার হাতে দেওয়া হয়েছে। কনস্টেবল আব্দুল হালিম প্রশংসার স্থান করে নিল। তিনি এর আগে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানা মানসিক রোগী এভাবে তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন।