আজ শুক্রবার, ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি, বিকাল ৩:২৩

৮৪দিনের রেকর্ড ভঙ্গ, ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক মৃত্যু ২৮

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত মে ৩১, ২০২০, ০৬:৫০ অপরাহ্ণ
৮৪দিনের রেকর্ড ভঙ্গ, ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক মৃত্যু ২৮

সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ৮৪ দিনের পেছনের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক মৃত্যু দেখল বাংলাদেশ। একদিনে ২৮ জনের প্রাণহানী ঘটেছে।

এর মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। এ নিয়ে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ৬১০ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ১ হাজার ৭৬৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ৪৪ হাজার ৬০৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৯০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৯ হাজার ৩৭৫ জন।

শনিবার (৩০ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মোট ৫০টি ল্যাবে বর্তমানে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব ল্যাবে মোট ১১ হাজার ৪৪৩ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯ হাজার ৯৮৭ টি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪টি।

শুক্রবার (২৯ মে) শনাক্ত হয় ২,৫২৩ ও মারা যায় ২৩ জন।

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম কোনও করোনা রোগী মারা যায়।

দেশে গত ২৮ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৫৪৯ জন। এরপর ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন, ৩০ এপ্রিল ৫৬৪ জন, ১ মে ৫৭১ জন, ২ মে ৫৫২ জন, ৩ মে ৬৬৫ জন, ৪ মে ৬৮৮, ৫ মে ৭৮৬ জন, ৬ মে ৭৯০ জন, ৭ মে ৭০৬ জন, ৮ মে ৭০৯ জন এবং ৯ মে ৬৩৬ জন, ১০ মে ৮৮৭ জন, ১১ মে ১০৩৪ জন, ১২ মে ৯৬৯, ১৩ মে সর্বাধিক ১ হাজার ১৬২ জন, ১৪ মে ১০৪১, ১৫ মে ১২০২, ১৬ মে ৯৩০, ১৭ মে ১২৭৩, ১৮ মে ১৬০২, ১৯ মে ১২৫১, ২০ মে ১৬১৭, ২১ মে ১৭৭৩, ২২ মে ১৬৯৮, ২৩ মে ১,৮৭৩, ২৪ মে ১,৫৩২, ২৫ মে ১৯৭৫, ২৬ মে ১,১৬৬, ২৭ মে ১,৫৪১, ২৮ মে ২,০২৯ ও ৩০ মে ২৫২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

আরও পড়ুন:  হবিগঞ্জে ট্রেনের টিকিটসহ ৩ কালোবাজারি আটক

বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৬২ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬১২ জন। আর একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯২৪ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ লাখ ছাড়ালো।

গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ২২৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ২২ হাজার ৬শ’র বেশি মানুষ। তাছাড়া ব্রাজিলে ১ হাজার ৬৭ জন, যুক্তরাজ্যে ৩৭৭ জন, রাশিয়ায় ১৭৪ জন এবং মেক্সিকোতে ৪৬৩ জন মানুষের প্রাণ গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মহামারি আবারও ভয়াবহ রূপে হানা দিয়েছে। বেশ কয়েকদিন মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও এখন আবারও তা বাড়তে শুরু করেছে। গতকালও সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয় যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৬৮ হাজার আর মৃত্যু ১ লাখ তিন হাজারের বেশি।

আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। আর প্রাণহানি ২৬ হাজারের বেশি।

এপ্রিল মাসে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে কোভিডে মৃত্যু পর্যালোচনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। প্রথমে এপ্রিলে ৬৩৯ জনের মৃত্যুর কথা সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখন কর্তৃপক্ষ বলছে, এপ্রিলেই মস্কোতে ১ হাজার ৫শ ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে সোমবার (১ জুন) থেকে এক জায়গায় ৬ জনের বেশি জড়ো হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই সাথে ৬ ফুট দূরত্বও বজায় রাখতে হবে সবাইকেই।

ফ্রান্স দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন শিথিলের পথে হাঁটছে। বৃহত্তর প্যারিস অঞ্চল আর করোনাভাইরাসের হটস্পট জোন বলে বিবেচিত হবে না। ফ্রান্সের বিপদ এখনও কাটেনি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড ফিলিপ্পে বলেছেন, লকডাউন শিথিল হলেও জনস্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন নির্দেশনার ওপর নজর রাখা হবে।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ স্পেনে এই প্রথম ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন:  শাবির শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় প্রায় দুইশো স্কুল বন্ধ করে অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে।

ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় প্রায় ২ মাস লকডাউনের পর বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। নতুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু হবে অফিস, ব্যবসা এবং গণপরিবহন।

কলম্বিয়ায় ১ জুলাই পর্যন্ত দেশজুড়ে কোয়ারেন্টাইন বাড়ানো হয়েছে। যদিও দেশটির কিছু অংশে চলাফেরায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হয়েছে কয়েক হাজার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।

জর্ডানে আগামী ৫ জুনে খুলে দেয়া হবে মসজিদসহ সব গির্জা।

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০