
নিজস্ব প্রতিবেদক:: মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশে ৩১ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা থাকলেও সিলেটে আগামীকাল বুধবার (২৭মে) শপিংমল খোলার ঘোষণা দিয়েছে সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।
মার্কেট খোলার এই সিদ্ধান্ত জানেন না সিলেটের সিংহভাগ ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে পোস্ট করার পর থেকে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিষয়টি অনেক ব্যবসায়ীরা জানেন না বলেও অভিযোগ করেছেন।
মার্কেট খোলার ব্যাপারে কথা হলে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন সিলেটের বার্তাকে বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাল থেকে মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ ব্যাপারে সিলেটের মার্কেট ভিত্তিক এসোসিয়েশন বা মার্কেট সমিতির সাথে মতবিনিময় বা পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রহমান রিপন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে কারো সাথে মতবিনিময় বা পরামর্শ নেওয়া হয়নি, তবে মুঠোফোনে অনেক মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এদিকে মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ সমিতির এমন সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলে এর তীব্র নিন্দাও করেছেন সিলেটের বিভিন্ন মার্কেট কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে কথা হলে করিম উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আফজাল হোসেন সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এ ব্যাপারে আমরা অবগত নয়।
আগামী ৩১ মে পর্যন্ত দেশের সাধারণ ছুটি ঘোষণা রয়েছে আমাদের মার্কেটেও সে অনুযায়ী যথারীতি বন্ধ থাকবে।
আফজাল হোসেন আরও বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার করিম উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ওই বৈঠক থেকে আমরা মার্কেট খোলা না খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।
শুকরিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী কমিটির সেক্রেটারি কিবরিয়া হোসেন নিঝুম বলেন, সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি নগরবাসীর প্রতি এ টুকুই অনুরোধ জানান, যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হন। শুকরিয়া মার্কেট স্ব-উদ্যোগে এবং মার্কেট কমিটির সিদ্ধান্তেই আগামীকাল থেকে খোলতে যাচ্ছে।
এব্যাপারে জানতে হাসান মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি হাজী রইছ আলীর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।