সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ওমরাহ পালনের মনবাসনায় টাকা জমিয়েছিলেন ফাহিম রাজা। বৈশ্বিক পরিস্থিতি নৎসাৎ করে দেয় মহামারী করোনাভাইরাস। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব থমকে দাঁড়ায়।
লকডাউনে মানুষের জীবনযাত্রা থেমে যায়। মা জননীর উৎসাহ আর অনুপ্রেরণায় ফাহিম রাজা তাঁর জমানো সেই টাকা দিয়ে ‘টেলি খাবার’ নামীয় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার ফাহিম রাজা। সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের নেতা তিনি। মুঠোফোনে খাদ্য সহায়তা চাইলেই অসহায়দের বাড়িতে মোটরসাইকেল কিংবা প্রাইভেটকারে করে পৌছে দিয়েছেন তিনি।
পরিবার থেকে মা। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে নেতাদের থেকে পাওয়া উৎসাহ-উদ্দিপনাকেই ফাহিম রাজা মূল সম্পদ মনে করে এগিয়ে গেছেন সমাজের অসহায়দের মুখে হাসি ফুটানোর কাজে।
রমজান মাস আর করোনাকালে তিনি ইতোমধ্যে ৩২০টি পরিবারের মাঝে তুলে দিয়েছেন প্রীতির উপহার খাদ্যসামগ্রী।
ফাহিম রাজা বন্ধুমহলের এস আর ইজদানী, মাজিদ চৌধুরী, নাদির, আব্দুস সামাদ, গোলাম মোস্তফা ও জামাল প্রমুখদের সহযোগীতায় এসব বিতরণ করে গেছেন।
শুধু অসহায় পরিবারই নয়, ছাত্রলীগের কিছু অসচ্ছল নেতাকর্মীদের জন্য ভালবাসার উপহার পাঠিয়েছেন তিনি। সিলেটের অনেক সংবাদকর্মীদের মাঝেও পৌছেছে ফাহিম রাজার এই ক্ষু্দ্র উপহার।
এদিকে ‘টেলি খাবার’ ছাড়াও করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪শ’ অসহায় পরিবারের মাঝে তিনি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
এব্যাপারে ফাহিম রাজা বলেন, আমি প্রথমে আমার মা জননীর কৃতজ্ঞতা আদায় করি পরে রাজনৈতিক নেতা ও বন্ধুমহলের সহযোগিতা আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আপতত: এই ‘টেলি খাবার’ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কার্যক্রমটি যথারীতি তিনি চালু রাখবেন।