আন্তর্জাতিক বার্তাঃ চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়ানো নিয়ে ‘বন্যপ্রাণী’র নাম শুনে আসছে পুরো বিশ্ব।
এই তথ্যে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তথ্য মিলেছে করোনা ভাইরাস ছড়ানো হয় উহানের এক ব্যক্তি থেকে।
উহানের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল বলে দাবি করেছিল চীন। সম্প্রতি এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। জীববিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনাভাইরাস উহানের হুয়ানান সাউথ চায়না সিফুড মার্কেটের প্রাণী থেকে নয়, ওই বাজারেরই একজন মানুষ থেকে ছড়িয়েছে।
গবেষণায় তারা এটা দেখে বিস্মিত হয়েছেন যে, ভাইরাসটি মানব সংক্রমণের আগেই মানুষের শরীরে স্থিতি ছিল। বেইজিং ভাইরাসের উৎস খুঁজতে মরিয়া উঠেছে এরই মধ্যে জীববিজ্ঞানীরা এমন বিস্ফোরক দাবি করলেন। এদিকে, চীনের ২৩০ শহরের ৬ লাখ ৪০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত বলে নতুন একটি নথি ফাঁস হয়েছে। অথচ দেশটির দাবি, তাদের মোট ৮৪ হাজার ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। খবর ফরেন পলিসি ও ডেইলি মেইলের।
আণবিক জীববিজ্ঞানী অ্যালিনা চ্যান এবং বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী শিং ঝান বলেছেন, নতুন গবেষণার অনুসন্ধান সুস্পষ্ট। জনসম্মুখে পাওয়া জেনেটিক তথ্য বাজারে ভাইরাসের ক্রস-প্রজাতি সংক্রমণের দিকে ইঙ্গিত দেয় না। নতুন গবেষণায় ২০০২-০৪ সালে সার্স মহামারীতে আক্রান্ত রোগীদের জিনগত নমুনার সঙ্গে করোনা রোগীর পরীক্ষা করা হয়েছে।
গবেষণাটি করেছেন হার্ভার্ড অ্যান্ড ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির গবেষণা ইউনিট ব্রড ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানী চ্যান এবং ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরে জীববিজ্ঞানী ঝান। তারা বলেছেন, নতুন করোনভাইরাসটি মানুষের মধ্যে আগেই স্তিতিশীল অবস্থায় ছিল। উহান বাজারের কোনো এক ব্যক্তির মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়েছে।
তারা অবাক হয়েছে এটা দেখে যে, এটি পূর্ববর্তী ভাইরাসের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। মহামারীর পরবর্তী পর্যায়ে ভাইরাসটি ‘মানব সংক্রমণের জন্য বেশ কয়েকটি সুবিধাজনক অভিযোজন গড়ে তুলেছিল। গত ডিসেম্বরে উহানের একজন রোগীর কাছ থেকে নেয়া নমুনা থেকে এটি স্পষ্ট হয়েছিল।
ভাইরাসের উৎস জানার অর্থ হল রোগ সম্পর্কে বুঝতে পারা, যা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মূল চাবিকাঠি। বেইজিংয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ভাইরাসটি হুয়ানান বাজারের একটি প্রাণী থেকে ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাদের দাবি সমর্থন করেছে। পরে সংস্থাটি বাজার পরিদর্শনে টিম পাঠিয়েছিল। বাজারটি থেকে প্রাণীর নমুনা নেয়া হয়েছিল। তবে চার মাস পেরিয়ে গেলেও বিদেশি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তা শেয়ার করা হয়নি।