জরুরী অবস্থা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল স্পেনের রাজপথ। চলমান পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আন্দোলনে নেমে এসেছেন দেশটির নাগরিকরা।
স্পেনে চলমান জরুরি অবস্থা পঞ্চম দফা ১৫ দিনের পরিবর্তে টানা ১ মাসের মেয়াদ বাড়াতে সংসদে প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
করোনা ভাইরাস ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন স্পেনের জনগণ। চলমান মহামারির মাঝেই আজ রবিবার (১৭ মে) এই বিক্ষোভে সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম এল পাইস সূত্রে জানা যায়,পুলিশ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানালেও মাদ্রিদের বারড়িও দে সালমানকায় কয়েকশ’ মানুষ বিক্ষোভ করেন। এসময় তাদের অনেকের হাতে স্পেনের পতাকা ছিল। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন বামপন্থি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এসব ডানপন্থী বক্স সমর্থক বিক্ষোভকারীরা।
কার্লোস নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘তাদের (সরকার) উচিত সবাইকে পরীক্ষা করা যেন সুস্থরা কাজে ফিরে যেতে পারে এবং অর্থনীতি আবারও চালু করা যায়।’
তিনি বলেন, করোনার পর সবচেয়ে খারাপ ভাইরাস ‘পেদ্রো এবং পাবলো’, যা ৪ কোটি ৭০ লাখ স্প্যানিশ জনগণকে ধ্বংস করে দেবে। প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী পাবলো ইগলেসিয়াসের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করেন তিনি। দেশটির জারাগোছা এবং দক্ষিণাঞ্চলের সেভিয়া শহরেও একই ধরনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়।
এ দিকে, আজ এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, ‘আমরা যে পথে যাচ্ছি, সেটিই একমাত্র সম্ভাব্য পথ। এসময় জুন মাসের শেষ পর্যন্ত জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াতে সংসদে প্রস্তাব দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
গত ১৪ মার্চ করোনার বিস্তার রোধে প্রথমবারের মতো জরুরি অবস্থা জারি করে স্পেন। কর্মকর্তারা জানান, দেশটিতে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এলেও ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত আরও কিছু সময় বিধিনিষেধ মেনে চলা দরকার।
স্পেনে প্রথমবারের মতো মৃত্যু নেমে এসেছে একশ’র নিচে। প্রায় দুই মাস পর আজ রোববার দেশটিতে মাত্র ৮৭ জন করোনায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যা আগের দিনের তুলনায় কম। শনিবার দেশটিতে প্রাণহানির এই সংখ্যা ছিল ১০২।
ইতোমধ্যে চারবার স্পেনে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আইনপ্রণেতা ও ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে সানচেজের বামপন্থি জোট সরকার।