মুফতি আবুল কালাম আযাদ:: আরবীতে লাইল অর্থ: রাত। কদর অর্থ: পরিমাপ, মর্যাদা। লাইলাতুল কদর অর্থ মর্যাদার রাত বা মর্যাদাপূর্ণ রাত।
লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব :
লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব সম্পর্কে পবিত্র কুরআনুল কারিমে ঘোষণা হয়েছে যে, لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌمِنْ اَلْفِ شَهْرٍ ‘লাইলাতুল কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ’ (সুরা কদর : আয়াত-৩)। কুরআনুল কারিমের অন্য আয়াতে এসেছে, إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِيْ لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّامُنْذِرِيْنَ ‘আমি একে (কুরআনকে) নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী।’ (সুরা দুখান : আয়াত-৩) অধিকাংশ মুফাসসিরিন বলেছেন এখানে বরকতময় রাত দ্বারা লাইলাতুল কদরই উদ্দেশ্য। কি পরিমাণ বরকতময় তার ধারণা পাওয়া যায় পরের আয়াতে উল্লেখ হয়েছে-فِيْهَا يُفْرَقُ كَلُّ أَمْرٍ حَكِيْمٍ ‘এরাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়’। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রাহ., ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আহমদ কুরতুবী রাহ. ও আল্লমা ইমাদ উদ্দিন ইবনে কাসির রাহ. বলেন এ রাতে প্রত্যেক বন্দার পরবর্তী বছরের বাজেট বরাদ্দ হয়। আর এটাকেই প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় গণ্য করা হয়েছে। (তাফসীরে কবির : খণ্ড ৩২, পৃষ্ঠা-৩০, মাকতাবায়ে তাওফিকিয়া, মিশর) আল্লাহ তাআলার কাছে এ রাত এতো বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, এ রাত আসলে সমস্ত আসমানবাসীদের মধ্যে সাড়া পড়ে যায় এবং সব গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাগণ দুনিয়ার ইবাতদকারীগণের দিকে মনোনিবেশ করেন। কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- تَنَزَّلُ الْمَلٰئِكَةُ وَالْرُّوْحُ فِيْهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ- سَلٰمٌ هِيَ حَتّٰى مَطْلَعِ الْفَجْرِ ‘এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ ফেরেশতা (জিব্রাইল) অবতীর্ণ হন তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে। এটা নিরাপত্তা (শান্তি), যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।’ (সুরা কদর : আয়াত-৩,৪)
হাদিস শরীফে লাইলাতুল কদরের অনেক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন : كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا دخل العشر شد مئزره وأحياليله وأيقظ أهله ‘যখন রমযানের শেষ দশক আসত তখন নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর লুঙ্গি কষে নিতেন (বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন।’ (সহিহ বুখারী : হাদিস নং-২০২৪; সহিহ মুসলিম : হাদিস নং-১১৭৪) হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : من قام ليلة القدر إيمانا واحتسابا غفرله ما تقدم من ذنبه ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে নেকির আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত্রি জাগবে, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ (সহিহ বুখারী : হাদিস নং-৩৫; সহিহ মুসলিম : হাদিস নং-১৭৬; সুনানে তিরমিযী : হাদিস নং-১৭৬/৬৮৩; তাফসিরে ইবনে কাসির : খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা-৪১৪, দারুল হাদিস কাহেরা, মিশর)
লাইলাতুল কদরের তাৎপর্য :
একদা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কিরামের কাছে বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তির ইবাদতের কথা আলোচনা করছিলেন (তাফসীরে রূহুল বয়ানে যার নাম শামসুন উল্লেখ করা হয়েছে) যে, তিনি এক হাজার মাস পর্যন্ত রাত অতিবাহিত করেছেন নামাযরত অবস্থায় এবং দিন অতিবাহিত করেছেন রোযা রেখে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে। সাহাবায়ে কিরাম তাঁদের হায়াত কম হওয়ায় ওই ব্যক্তির প্রতি আফসোস ও আশ্চর্য প্রকাশ করলেন, তখন আল্লাহ তা’আলা জানিয়ে দিলেন যে, উম্মতে মুহাম্মদির হায়াত স্বল্প হলেও তাদের জন্য এমন একটি রাত দেয়া হবে যে রাত হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। সে রাত হল লাইলাতুল কদর। (তাফসিরে ইবনে কাসির : খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা-৪১৩, দারুল হাদিস কাহেরা, মিশর; তাফসিরে কবির : খণ্ড ৩২, পৃষ্ঠা-৩০, মাকতাবায়ে তাওফিকিয়া, মিশর; তাফসিরে কুরতুবি : খণ্ড ২০, পৃষ্ঠা-১২০, দারুল কিতাব আল ইলমি, মিশর)
আল্লামা আবু হাইয়ান আন্দালুসী রাহ. উল্লেখ করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার জন নবীর আলোচনা করেছেন যাঁরা ৮০ বছর পর্যন্ত একনিষ্টতার সাথে দুনিয়ার সব ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর ইবাদত করেছেন। তাঁরা হলেন হযরত আইয়ুব আ., হযরত যাকারিয়া আ., হযরত হিযকিল আ., হযরত ইউশা ইবনে নুন আ.। এ কাহিনি শুনে সাহবায়ে কিরাম আফসোস ও আক্ষেপ প্রকাশ করলেন। তখন আল্লাহ তা’আলা জানিয়ে দিলেন যে, উম্মতে মুহাম্মদির জন্য এমন একটা রাত রয়েছে যা এক হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। আর এক হাজার রাতে ৮৩ বছর চার মাস হয়। (তাফসিরে বাহরুল মুহিত : খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা-৪৯২, দারুল কুতুব আল ইলমি, বায়রুত লেবানন)
আল্লামা আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আহমদ কুরতুবী রাহ. উল্লেখ করেন যে, দুনিয়ায় দু’জন বাদশাহর শাসনামল আল্লাহর কাছে পছন্দ হওয়ায় তাঁদের কথা কুরআনে উল্লেখিত হয়েছে। একজন হলেন বাদশাহ সুলাইমান আ. এবং অপরজন বাদশাহ যুলকারনাইন। তাঁদের প্রত্যেকের শাসনামল ছিল ৫০০ মাস করে মোট এক হাজার মাস। কোনো ব্যক্তি যদি লাইলাতুল কদরে ইবাদত করতে পারে তবে সে উল্লেখিত বাদশাদ্বয় থেকেও উত্তম আমলকারী হিসেবে গণ্য হবে। (তাফসিরে কুরতুবি : খণ্ড ২০, পৃষ্ঠা-১২০, দারুল কিতাব আল আরবী, বায়রুত লেবানন)
লাইলাতুল কদর কোন রাত?
রমজান মাসের কোনো এক রাতে লাইলাতুল কদর হওয়ার বেলায় অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম একমত। কেননা আল্লাহ তা’আলা ঘোষণা করেছেন : شَهْرُ رَمَضَانَ الذِّيْ أُنْزِلَ فِيْهِ الْقُرْآنُ ‘রমজান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কুরআন’ (সুরা বাকারা : আয়াত-১৮৫)। তবে রমজানের কোন রাত সেটা নিয়ে বিস্তর মতামত রয়েছে। অধিকাংশ মুফাসসিদের মতে রমজানের শেষ দশকের কোনো এক বেজুড় রাতে লাইলাতুল কদর। হাদিস শরীফে এসেছে- হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ঃ التمسوها في العشر الاوخرمن رمضان ليلة القدر في تاسعة تبقى في سابعة تبقى في خامسة تبقى ‘তোমরা তা (লাইলাতুল কদর) রমযানের শেষ দশকে অনুসন্ধান কর। লাইলাতুল কদর (শেষ দিক হতে গণনায়) নবম, সপ্তম বা পঞ্চম রাত অবশিষ্ট থাকে। (সহিহ বুখারী : হাদিস নং-২০২১) হযরত আবু যর রা. থেকে বর্ণিত এক লম্বা হাদিসে এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ঃابتغوها في العشر الأواخر، لا تسألني عن شيئ بعدها ‘তোমরা লাইলাতুল কদর শেষ দশকে তালাশ কর, এর পর আর এ বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞেস কর না (তাফসিরে ইবনে কাসির : খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা-৪১৬, দারুল হাদিস কাহেরা, মিশর; মুসনাদে আহমদ : খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা-১৮১; বায়হাকি : খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা-৩০৭)
যারা বলেছে পুরো রমযান মাসের কোনো এক রাতে লাইলাতুল কদর তাঁদের একটি তালিকা ইমাম ফখরুদ্দিন রাযি রাহ. উল্লেখ করেছেন। যথা- হযরত ইবনে রুযাইন রাহ. বলেন ঃ লাইলাতুল কদর হল রমযানের প্রথম রাত। হযরত হাসান বসরি রাহ. বলেন ঃ লাইলাতুল কদর হল সতের রমযান। কেননা সেদিন বদরের যুদ্ধও সংগঠিত হয়েছিল। হযরত আনাস রা. থেকে মারফু সুত্রে বর্ণিত হয়েছে, লাইলাতুল কদর হল ঊনিশ রমযান। হযরত মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক রাহ. বলেন ঃ লাইলাতুল কদর হল একুশ রমযান। হযরত ইবনে আব্বাস রা. বলেন ঃ লাইলাতুল কদর হল তেইশ রমযান। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন ঃ লাইলাতুল কদর হল চব্বিশ রমযান। হযরত আবু যর গিফারী রা. বলেন ঃ লাইলাতুল কদর হল পঁচিশ রমযান। হযরত উবাই ইবনে কা’ব রা. এবং আরো বেশ কিছু সাহাবায়ে কিরামের মতে লাইলাতুল কদর হল সাতাশ রমযান। কেউ কেউ আবার ঊনত্রিশ রমযানের কথাও বলেছেন। (তাফসিরে কবির : খণ্ড ৩২, পৃষ্ঠা-৩০/৩১, মাকতাবায়ে তাওফিকিয়া, মিশর)
লাইলাতুল কদর অনির্দিষ্ট রাখার রহস্য :
সর্বজ্ঞাতা আল্লাহ তা’আলা তাঁর ইচ্ছায় যা প্রকাশ করেন তা মেনে চলা এবং যা গোপন রাখেন তা না খুঁজাই আমাদের কর্তব্য। তেমনি একটি বিষয় হল লাইলাতুল কদর। তবে মুফাসসিরিনে কিরাম এখানে সম্ভাব্য কিছু রহস্য উল্লেখ করে থাকেন। যথা-
* আল্লাহ তা’আলা কিছু বিষয়াদি গোপন রাখেন যাতে বান্দা তাঁর প্রকাশ্য বিষয়াদিতে যেমন বিশ্বাস করে তেমনি গোপন বিষয়াদিতে বিশ্বাস রাখে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য।
* আল্লাহ তা’আলা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি গোপন রাখেন যাতে বান্দা তা অর্জনে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করে। যেমন- কারা আল্লাহর ওলি তা গোপন রাখেন যাতে সব মু’মিনকে সম্মান করা হয়। দুআ কবুলের বিষয়টি গোপন রাখেন যাতে বেশি বেশি দুআ করা হয়। তাঁর ইসমে আজম গোপন রাখেন যাতে আল্লাহর সব নাম নিয়ে ডাকা হয়। তাওবা কবুলের বিষয়টিও গোপন রাখেন যাতে বান্দা বার বার তাওবা করে। মৃত্যুর বিষয়টিও গোপন রাখেন যাতে অধিক পরিমানে মৃত্যুর কথা স্মরণ করে। তেমনি লাইলাতুল কদরকেও গোপন রেখেছেন, যাতে বান্দা গুরুত্বের সাথে তা খোঁজে।
* লাইলাতুল কদর অনির্দিষ্ট হওয়ায় যখন বান্দা তা পাওয়ার জন্য খুব বেশি চেষ্টা-প্রচেষ্টা করবে তখন আল্লাহ ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করবেন যে, তোমরা বলেছিলে আদম সন্তান রক্তপাত ও ঝগড়া-বিবাদ করবে। দেখ তারা আমাকে পাওয়ার জন্য কত মেহনত করছে। (তাফসিরে কবির : খন্ড ৩২, পৃষ্ঠা-২৯/৩০, মাকতাবায়ে তাওফিকিয়া, মিশর)
মোটকথা : এটা আল্লাহ তা’আলার হেকমত যে, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি নেয়ামত যদি বিনাশ্রমে অর্জিত হওয়ার যোগ্য করে দিতেন, তবে হয়তো এর যথাযোগ্য মূল্যায়ন হত না। এজন্য বলেছেন যে, এ নিয়ামত অর্জনের জন্য সামান্য শ্রম ব্যয় কর। (ইসলাহি খুতুবাত : বলিউম ৬, পৃষ্ঠা-২৩০, বিশ্বকল্যাণ পাবলিকেশন্স)
কিভাবে অতিবাহিত করবো লাইলাতুল কদর?
এ রাত তো কেবল বান্দা ও তার মাবুদের পার্সোনাল আদান-প্রদানের রাত। তাই বান্দা কোন এক কোনে থাকবে তার মালিকের খুঁজে। একাগ্রচিত্তে প্রভুর কাছে আত্মনিবেদন আর নিজ চাওয়া-পাওয়ার হিসেব নিয়ে। আগত বছরের কল্যাণকর বাজেট মঞ্জুরির তরে থাকবে ব্যাকুল। বিগত জীবনের কৃত পাপ মোছনের রুনাজারিতে থাকবে মগ্ন। বান্দার তরফ থেকে দুআ করা সব সমস্যার সমাধান চাওয়া আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়। (ইসলাহি খুতুবাত : বলিউম ৬, পৃষ্ঠা-২৩১/৩২, বিশ্বকল্যালণ পাবলিকেশন্স)
লাইলাতুল কদরে যা করা অনুচিত :
কিছু লোক এ রাতকে যৌথ কাজে ব্যয় এবং আনন্দ-ফুর্তিতে কাটিয়ে দেয়। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন সভা-সমাবেশের আয়োজন করে। দাওয়াত-খতম ইত্যাদিতে রাত কাটিয়ে দেয়। কেউ কেউ বলেন যে, এ রাতে ফযিলত বয়ান ও এ রাত উদযাপনের পদ্ধতি আলোচনা করা হয়। অথচ, এটা উচিৎ ছিল লাইলাতুল কদর আসার আগে এগুলো শেষ করা। কেননা যুদ্ধের ট্রেনিং যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে করলে হয় না বরং যুদ্ধের আগে করতে হয়। অনেকে আবার এ রাতে সম্মিলিত কবর যিয়ারত এবং অনেক জায়গায় সম্মিলিতভাবে নফল নামাযের মাধ্যমে মসজিদে রাত অতিবাহিত করেন। অথচ, শরীয়তের দৃষ্টিতে সম্মিলিতভাবে নফল ইবাদত করা অপছন্দনীয়। কেননা সেই সম্মিলিত রাত জাগার মধ্যে অনেক বিদআতের সংমিশ্রণ থাকে। বরং আপন ঘরের কোনেই এ রাত অতিবাহিত করা উত্তম। কুরআন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে পুরো রাত রহমত নাযিল হতে থাকে। আপনি ঘরে ইবাদত করলে আপনার ঘরেও রহমত অবতীর্ণ হবে। তবে কারো যদি আশঙ্কা হয় যে, ঘরে ইবাদত’ করলে ঘুমিয়ে যাবে বা অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবে কেবল সে ব্যক্তিই মসজিদে আসতে পারবে। এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, ঘরের কোনে ইবাদাতের সমপরিমান সওয়াব মসজিদে করলে পাওয়া যাবে না। (ইসলাহি খুতুবাত : বলিউম ৬, পৃষ্ঠা-২৩২, বিশ্বকল্যা পাবলিকেশন্স)
লেখক : মুহাদ্দিস : জামেয়া ইসলামিয়া বুধবারী বাজার, গোলাপগঞ্জ, সিলেট।