সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: মহামারী করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে দেশে আরও ১৫ জনের প্রাণ আর একদিনে ১২০২ জনের শরীরে ধরা পড়েছে মরণব্যধি এই ভাইরাসের উপস্থিতি।
যা এ পর্যন্ত দিনের হিসেবে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ২০ হাজার ৬৫ জন।
মৃত্যুবরণ করেছেন নতুন করে ১৫ জন। মৃতদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে ৮১ থেকে ৯০ বছরের আছেন ২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের আছেন ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের আছেন ৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের আছেন ১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের আছেন ১ জন। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি হলো ২৯৮ জনের।
গত ৪৮ ঘণ্টা (২দিন) সুস্থ হয়েছেন ৫১২ এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩ হাজার ৮৮২ জন।
শুক্রবার (১৫ মে) দুপুরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (চ.দা) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
মোট ৪১টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে যার মধ্যে ঢাকার ২১টি এবং ঢাকার বাইরে ২০টি। গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৯ হাজার ৫৩৯ টি নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। এখান থেকে ৮ হাজার ৫৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫১২টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেয়া হয়েছে ২৫৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ২ হাজার ৭৪৮ জন।
আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮১ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৯ জন।
যারা কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তারা সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তারা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শ থাকবে, তারা যেন এখনও নিজ ঘরে থাকেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) শনাক্ত হয় ১,০৪১ ও মারা যায় ১৪ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনে ১০ হাজার ০০০ নমুনা পরীক্ষার টার্গেট করা হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন করা যায়নি।
কর্মকর্তারা বলেছেন, নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু করে লোকবলের সমস্যার কারণে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, বাংলাদেশে এই পরীক্ষা শুরুর পর দুই মাসেও এর সংখ্যা বাড়াতে না পারলে সংক্রমণের সঠিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে না।
দেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয় ৮ মার্চ। তবে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয় ১৮ মার্চ।
বিশ্বে ২১৩ দেশ ও অঞ্চলের ৩ লাখ ৩ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজারের বেশি মানুষের। এই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজারের বেশি। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে, দেশটিতে মারা গেছেন ১৭০৪ জন।
ব্রাজিলে ৮৩৫, যুক্তরাজ্যে ৪২৮, ফ্রান্সে ৩৫১, মেক্সিকোতে ২৯৪, ইতালিতে ২৬২, স্পেনে ২১৭ এবং কানাডায় প্রাণ গেছে ১৭০ জনের। জাপানের বেশিরভাগ প্রদেশে তুলে নেয়া হয়েছে জরুরি অবস্থা। ২৬ মে থেকে খুলে দেয়া হবে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ।
দক্ষিণ সুদানে করোনায় প্রথম মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পর ইতালিতে একদিনে ৯৯২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মে( থেকে মস্কোতে শুরু হচ্ছে গণটেস্টিং। জুনের ২৬ তারিখ পর্যন্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রাখবে পোল্যান্ড।