আজ বৃহস্পতিবার, ২০ রামাযান-১৪৪১ হিজরি মোতাবেক ১৪ মে-২০২০ ইংরেজি। মাগফিরাত দশকের শেষ দিন আজ।
সিলেটের বার্তার নিয়মিত আয়োজন রামাযান প্রতিদিনে আজ ‘রামাযানের শেষ দশকের বিশেষ আমল’ নিয়ে লিখছেন-লুকমান হাকিম
রামাযানুল মুবারকের শেষ দশকের আমলগুলোর একটি হল এতেকাফ। দুনিয়ার সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে শুধু আল্লাহর ধ্যানে তাঁর দরবারে (মসজিদে) বসে থাকা এবং সর্বদা তাঁর তাসবীহে রত থাকা। আল্লাহর মকবুল বান্দাগণের এ এক বিশেষ ইবাদত। এ ইবাদতের সময় হল মাহে রামাযানের শেষ দশ দিন।
কুরআন নাযিল হওয়ার আগে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ‘হেরা’ গুহায় নির্জনতা অবলম্বন করতেন। বস্তুতঃ এ ছিল তাঁর প্রথম এতেকাফ। এর ফলে তিনি আধ্যাত্মিকতার সেই স্তরে পৌঁছেন, যেখানে তাঁর প্রতি কুরআন নাযিল হয়। আর তা ছিল রামাযানের শেষ দশকের ক্বদরের রাত্রে।
রামাযানের পুরো মাসটি হল মানুষের পশুবৃত্তিকে দমন করে অত্মার উন্নতি সাধনের মাস।
এ মাসে হারাম কাজ ত্যাগ করার কঠোর আদেশ তো আছেই, এমনকি রোযাবস্থায় অনেকগুলো হালাল কাজও ত্যাগ করতে হয়। এরপর অত্মার পরম উন্নতি লাভের জন্য এবং আল্লাহর সাথে বান্দার গভীর সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শরীয়তে রয়েছে এতেকাফ ব্যবস্থা। বান্দা মসজিদের কোণে এতেকাফ নিয়ে দুনিয়ার সকল ঝামেলা ত্যাগ করে শুধু আল্লাহর ধ্যানে এবং তাঁর তাস্বীহ্-তাহ্লীলে মগ্ন থাকে।
আর ক্ষণে ক্ষণে নিজের সকল অপরাধের মার্জনা উদ্দেশ্যে তাওবা ও ইস্তিগফার করে। রাতের অন্ধকারে চোখের জলে নিজের বুক ভাসায়। এ জন্যই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমযানের শেষ দশকে এতেকাফ গ্রহণের বিশেষ ব্যবস্থা নিতেন। এমন কি কারণ বশতঃ এক বছর এতেকাফ করতে না পারলে পরবর্তী বছর মোট বিশ দিনের এতেকাফ করেছিলেন।