সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ৮৩ জন হাজতিকে লকডাউনে রাখা হয়েছে। এছাড়া কারাগারের ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক হাজতির মৃত্যুর ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ মারা যাওয়া হাজতির বসবাসরত ওয়ার্ডের হাজতিদের লকডাউনে রাখার নির্দেশনা দেয়।
বিষয়টি আজ মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আহমদ হোসেন নামের হত্যা মামলার এক হাজতি করোনাক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর তিনি যে ওয়ার্ডে থাকতেন, সেটি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে হাজতি আছেন ৮৩ জন। এর বাইরে কারা কর্মকর্তা, কারা চিকিৎসক, কারারক্ষীসহ ২৪ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।’
জেলার মুজিবুর রহমান নিজেই কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, কারাগারের অন্য কারো শরীরের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, আহমদ হোসেন (৫৫) কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ঘড়াই গ্রামের বাসিন্দা। একটি হত্যা মামলায় গত ৫ মার্চ তিনি কারাগারে যান। এরপর গত ৮ মে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পাঠানো হয় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহমদ হোসেনের মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকায় তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত ৯ মে তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়, গতকাল সোমবার ফলাফলে পজিটিভ আসে। কিন্তু এর আগেই গত রবিবার তিনি মারা যান।