নিজস্ব প্রতিবেদক:: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের মার্কেট খোলা রাখার অনুমতিকে স্বাগত জানিয়েও দেশ ও জাতির কথা ভেবে সেদিন মার্কেট খোলা না রাখার ব্যাপারে একাত্মতা পোষণ করেছিলেন হাসান মার্কেট কর্তৃপক্ষ।
আজ সেই একাত্মতা পোষণের কী হল? সেটাই মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ীর কথা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান, আজ মঙ্গলবার অনেকে দোকান খুলেছেন।
অনেক অনলাইন নিউজ করেছে উল্টোপথে হাটছেন হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
আমি বলব, ব্যবসায়ীদের দোষ কোথায়? কর্তৃপক্ষ খোলে না দিলে কী ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে ফেলেছেন।
হকার্স মার্কেটের দেখাদেখি হাসান মার্কেটও খুলা হয়েছে বলে মন্তব্যও করেন তিনি।
অর্ধশত দোকান খোলা। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। বেচাকেনাও চলছে ঘটা করে। গদিতে মালিক সেলসম্যানের দূরত্ব নেই।নেই দূরত্ব ক্রেতাদের মাঝেও।
সরেজমিনে মঙ্গলবার দেখা যায় এই দৃশ্য।
গত শুক্রবার সিলেট নগরের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট ঈদের আগে খোলা না রাখার ঘোষণা দেন। নগরভবনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক বৈঠকে সকল ব্যবসায়ীরা ঐক্যমত্যভাবে এই সিদ্ধান্ত দিলেও এতে উপস্থিত ছিলেন না হাসান মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
তবে পরদিন শনিবার সিলেটের হাসান মার্কেটও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন মার্কেট কর্তৃপক্ষ। শনিবার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রইছ আলী সেদিন তথ্যটি নিশ্চিত করেছিলেন।
মার্কেটের অর্ধেকের মতো দোকান খোলার থাকার বিষয়টি স্বীকার করে হাসান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রইছ আলী মঙ্গলবার বেলা ২টায় কে বলেন, আমি এখন মার্কেটেই অবস্থান করছি। কিছু দোকান খুলে ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে আমরা একটু পরেই জরুরি বৈঠকে বসছি। বৈঠকে বসে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, দিনের দিন দোকান না খুলে তারা কী ধরনের আর্থিক কষ্টে আছেন তা শুধু তারাই জানেন, কাউকে বলে বুঝাতে পারবেন না। পেটের দায়ে তারা দোকান খুলেছেন। তবে ক্রেতাদের তারা স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করছেন সবসময়। কেউ মানছেন, কেউ মানছেন না। তারা নিজেরাও সতর্কতা অবলম্বন করছেন এবং মার্কেটে ঢুকার মুখে সবার হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস ও লকডাউনের কারণে দেশের সকল দোকানপাট (নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যতিত ) বন্ধ রয়েছে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। গেল সপ্তাহে সরকার ঘোষণা দিয়েছে ১০ মে থেকে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য দোকানপাট, শপিংমল খোলা রাখা যাবে। কিন্তু সিলেট নগরীর সকল ব্যবসায়ীরা করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।