
গোয়াইনঘাট থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা:: সিলেটের গোয়াইনঘাটে স্বাস্থ্যবিধি খাদ্যপণ্য তৈরী করছে গোল্ডেন হারবেস্ট নামের খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এতে কোনো প্রকার পরিবেশের বিপর্যয় বা ক্ষতিসাধন হচ্ছেনা।
দেশের বিভিন্নস্থানে এই প্রতিষ্টানের অপরাপর কারখানায় কাচামালসহ মালামাল পরিবহণে প্রতিদিন ৩-৪টি নিজেদের কাভার্ডভ্যান যাতায়াত করে উক্ত কারখানায়। চালকদের হ্যান্ড স্যানেটাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি জনস্বার্থে কাউকেই কোম্পানির বাহিরের কোন হাট-বাজার দোকানে যেতে দেয়া হয়না।
কোম্পানির গেট দিয়ে মানুষজন,যানবাহন প্রবেশ থেকে শুরু করে প্রতিটি ইউনিটে প্রবেশের আগে হ্যান্ড স্যানেটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রবেশ করতে হয়।
এ দৃশ্য সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফতেহপুরে গড়েউঠা একমাত্র উৎপাদনমুখি খাদ্যপ্রত্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্টান গোল্ডেন হারবেষ্ট ফুডস লিমিটেড নামক প্রতিষ্টানটির। শনিবার সকাল ১১টায় এ প্রতিষ্টানে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের চোখে পড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমনরোধে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের খাদ্যপ্রত্য উৎপাদনের চিত্র। কোম্পানির জিএম নিজেই সংবাদকর্মীদের তাদের উৎপাদিত চানাচুর,মটরভাজা,চিপস,ডালভাজা,ঝালমুড়ি,সস এবং সুগন্ধি চাল প্যাকেজিং ইউনিট ঘুরে দেখান। পরিদর্শনকালে প্রায় প্রতিটি ইউনিটে দেখা যায় কর্মরত স্থানীয় শ্রমিকরা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করছেন। প্রতিটি শ্রমিক হ্যান্ড স্যানেটাইজিং,পিপিই পরিধান,পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থায় গড়ে উঠা শেডে কাজ করছেন। কারখানার ভেতরে ইউনিটগুলো আরও সুরক্ষিত। সেখানে রয়েছে শীতাতপ ব্যবস্থা।
অটোমেটিক পদ্ধতিতে খাদ্য উৎপাদনের যান্ত্রিক পদ্ধতিগুলো চলমান থাকায় সেখানে শ্রমিকের সংখ্যা হাতেগুনা। খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনের মুল কারখানার বাহিরে দক্ষিন দিকে মোটর সাইকেল যোগে ৪-৫ মিনিটের পথ এগুলো চোখে পড়ে গোল্ডেন হারবেষ্ট ফুডস লিমিটেডের ডেইরী প্রতিষ্টান। ২শতাধিক ফ্রিজিয়ান গরু আর বাচুরের শেডগুলো অত্যান্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে তুলা হয়েছে। নিজেদের জমিতে ঘাসের ব্যবস্থা গড়ে তুলে তাদের খাবারের ব্যবস্থা থাকায় বাহিরের পরিবেশে থেকে এই ডেইরী ফার্মটি আলাদা ও সুরক্ষিত রয়েছে। সরজমিন পরিদর্শনকালে জানা যায় ২০১৬ সালে গড়ে উঠা এ খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্টানটি শুরু থেকেই প্রতি মাসে সরকারের কোষাঘারে প্রতি মাসে নুন্যতম ২০ লক্ষ টাকা ভ্যাট দিয়ে আসছে।
এলাকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশপাশি স্থানীয় স্কুল,মসজিদ মাদ্রাসা উন্নয়নে প্রতিষ্টানটি কাজ করছে নিজেদের অবস্থান থেকে। বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঝুকি শুরু হলে সম্প্রতি এ প্রতিষ্টানের বিরোদ্ধে এলাকার মহল বিশেষ থেকে সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে অপপ্রচার শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ প্রশাসনসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর ধারস্থ হয়।
এব্যাপারে কথা হলে প্রতিষ্টানটির জিএম প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম জানান,গোল্ডেন হারবেষ্ট ফুডস লিমিটেড শুরু থেকেই আমরা সরকারি নির্দেশনায় মেনে অপারেশন চালিয়ে আসছি। আমাদের শ্রমিকদের শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা তৎপর আছি। চলতি করোনা ভাইরাসের দুর্যোগের সময় আমাদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার্থে বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছি।
এমতাবস্থায় মহল বিশেষ থেকে আমাদের কার্যক্রমে মিথ্যা,প্রগাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আমরা আইনগত উদ্যোগ নিয়েছি এবং এ ব্যাপারে এলাকাবাসির প্রতি মিথ্যা,ভিত্তিহীন প্রচারনায় বিভ্রান্ত না হতে আমরা আহবান জানাচ্ছি।
গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাবিক বলেন,উৎপাদনমুখি খাদ্যপ্রত্য সামগ্রীর কারখানাসহ এ জাতীয় শিল্প খুলা থাকার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। গোয়াইনঘাটের গোল্ডেন হার্বেষ্ট কোম্পানি আমরা পরিদর্শন করেছি। শতভাগ স্যানেটাইজিংসহ স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখেছি।