সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সিলেটের গোয়াইনঘাটে এক যুবলীগ নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার পূর্ব জাফলং আসামপাড়া হাওর এলাকায় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেমের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা অগ্নি সংযোগসহ লুটপাট চালায়।
গত ৫মে দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় প্রথম দফায় অতর্কিত হামলার পর রাত ১১টায় পূনরায় সংঘবদ্ধভাবে যুবলীগনেতা আবুল কাশেমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা (নং ০৫) ।
থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় যে,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনার দিন ৫ মে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় যুবলীগনেতা আবুল কাশেমের বাড়ির সামনে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে কথা কাটাকাটি হয় আব্দুল হান্নানের সাথে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার উপর স্থানীয় আব্দুল হান্নান,হারুন,হানিফ,দেলোয়ার,রাসেল গংরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা চালায়। পরে সংঙ্গবদ্ধ জনতাবল আবুল কাশেমের বসত ঘরে অগ্নি সংযোগ করা হয়। এতে করে তার ঘর এবং ঘরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র,একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়।
এসময় নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুট করে নেয় বলেও অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা আবুল কাশেম বলেন,স্হানীয় আসামপাড়া হাওর গ্রামের আব্দুল হান্নান গংদের সাথে গত জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী মনোমালিন্য ও বিরোধ চলে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৫ মে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় প্রথম কথা কাটাকাটি ও তাদের হামলার শিকার হই,পরে রাত সাড়ে ১১টায় আমার বাড়িতে জনতাবলে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া আমার বসত ঘরে পেট্রোল ঢেলে অগ্নি সংযোগ করে। এতে ঘরের আসবাবপত্র,মোটরসাইকেল,নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় আমি গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
এ ঘটনায় সরজমিনে গেলে ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির বাসিন্দা মোঃ আবুল হোসেন(৬৫) ও মোঃ মনা মিয়া(৫৫) জানান,আবুল কাশেমের ঘরে আগুনের খবর পেয়ে এলাকার অপরাপরদের মতো আমরাও ঘটনাস্থলে যাই,আগুন নেভাতে সাহায্য করি। তবে এসময় আমরা কাউকে সেখানে দেখিনি।
সরজমিনে পরিদর্শনকালে বক্তব্যের জন্য মামলায় অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি,তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আহাদ জানান,জাফলংয়ের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। তদন্ত চলছে,তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।