আজ শুক্রবার, ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, দুপুর ২:৪১

ধর্ম-বর্ণের পরিচয় ভুলে খাদ্যসহায়তা নিয়ে হিন্দু পরিবারের পাশে মিছলু

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত মে ৯, ২০২০, ০১:৫০ পূর্বাহ্ণ
ধর্ম-বর্ণের পরিচয় ভুলে খাদ্যসহায়তা নিয়ে হিন্দু পরিবারের পাশে মিছলু

সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: ধর্ম-বর্ণের পরিচয় ভুলে খাদ্যসহায়তা নিয়ে হিন্দু পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন সিলেট নগরীর বনকলাপাড়ার মিছলু নামের এক যুবক।

প্রতিদিনের মতো ছুটে চলার ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ফোন পান নগরীর বনকলাপাড়ার এক মধ্যবিত্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের কাছে থেকে, সাথে সাথে খাদ্যসামগ্রী উপহার নিয়ে পৌছে দিলেন।

মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন মানবাধিকার কাউন্সিল সিলেট জেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, শাহজালাল উপশহর ব্যবসায়ী সমিতি ই.এফ এর সাবেক সেক্রেটারি, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সংগঠক সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু।

কথাটি ধ্রুব সত্য ‘অন্ন’ এমন এক নাম তার মূল কর্মই হল জাতি, গোত্র, বর্ণ, ধনী, দরিদ্র প্রমুখ নিরন্ন মানুষের উদরে প্রবেশ করে তার ক্ষুদা নিবারণ করা, খাদ্য কখনই প্রশ্ন করে না, তুমি কে? কী তোমার ধর্ম পরিচয়?
‘অন্ন’ সে মনপ্রাণ দিয়ে নিজের ধর্ম পালন করে যায়, করে যায় ক্ষুধার্ত প্রাণীর ক্ষুধা নিবারণ।

খাদ্যের নিজের নেই কোনও বাছবিচার, তাকে যে আধারে রাখা হয় সেখানেই সে পালন করে তার আপন ধর্ম। যে আহার ধনী পরিবারের খিদে মেটায়, সেই একই আহার দরিদ্র মানুষেরও ক্ষুধা নিবৃত্তি ঘটায়। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন সংগ্রাম, ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই।
সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু বলেন ধর্ম, সম্প্রদায়, জাতি, গোষ্ঠী নির্বিশেষে অভুক্তের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে পালন করেন মানব ধর্ম। উপহার দান কালে কারো নামটুকুও জানতে চাননি তিনি। কারণ তিনি জানেন ক্ষুধার কোন জাত ধর্ম নেই। অভুক্ত অবস্থায় আপনি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, জৈন বা খ্রিস্টান নন, আপনি ক্ষুধার্ত। আর সেই ক্ষুধার্তকে অন্ন দান করাই মানুষের পরম ধর্ম।

মিছলু অসহায় মানুষের কাছ থেকে ফোন অথবা ফেইসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ পেলেই অসহায় ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে কখনো দিনে আর কখনো রাতের আঁধারে ছুটে যান বিপদগ্রস্ত মানুষের মুখে নিজ উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রী উপহার নিয়ে বাসাবাড়িতে।
ইতিমধ্যে তিনি খ্যাতি কুড়িয়েছেন ‘বিপদের বন্ধু’ হিসেবে।

আরও পড়ুন:  টাকা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে কপাল পুড়ল সাবরিনার

তিনি এর আগে নিজের উদ্যোগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির স্বার্থে নগরীর শাহজালাল উপশহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ১টি করে হাত ধোয়ার সাবান এবং পানির ড্রাম বসিয়ে দেন। স্প্রে মেশিন কাঁধে নিয়ে তার নিজ এলাকা শাহজালাল উপশহরে সবসময় জীবাণুনাশক স্প্রেও ছিটিয়েছেন।

তিনি আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মূলক কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে সরকার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী সহ সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এসেছেন, কোন কাজ’ই একার পক্ষে সম্ভব নয় তাই আরো ব্যাপক ভাবে যায় যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন।

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭