নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় ছিনকাই করে ফিল্মি স্টাইলে পলায়নের সময় মোগলাবাজার থানা পুলিশের জালে আটক হলেন তিন ছিনতাইকারী।
এসময় ছিনতায়ে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার (চট্ট মেট্রো গ-১১-২৪৫৪) জব্ধ করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাতগড়িয়া, উজিবাড়ি এলাকার জহুরুল হকের ছেলে ও বর্তমানে মোগলাবাজার থানাধীন লালমাটিয়া বাবলার বাসার ভাড়াটিয়া হুমায়ুন কবির, নোয়াখালীর চরজব্বার উপজেলার পূর্বচর মজিদ এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে বর্তমানে দক্ষিন সুরমার খোজারখলা বাসিন্দা রবিউল হোসেন জাকির(৩৫) ও ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজভাগ এলাকার মৃত জুলফিকার আহমদ সেলিমের ছেলে ও বর্তমানে গোটাটিকরের শেখ সোহেল মিয়ার কলোনীর বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (২৮)।
বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কে রেঙ্গা-হাজিগঞ্জ ব্রিজ এলাকা থেকে ধাওয়া করে নগরীর বাগবাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, কারের ভেতর থেকে একটি লোহার রড, একটি রামদা, একটি প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত কাটার (চাকু) ও প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত একটি স্কু ড্রাইভার উদ্ধার করে।
শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন। দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি আখতার হোসেন জানান, গ্রেফতার হওয়া ছিনতাইকারীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রাত পৌনে ২টার দিকে যানবাহনে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছে-এ তথ্যের ভিত্তিতে মোগলাবাজার থানার এসআই পলাশ কানু সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল ব্রিজের নিকটবর্তী হন। এসময় ছিনতাইকারী দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার (চট্ট মেট্রো গ-১১-২৪৫৪) যোগে দ্রুত বেপরোয়া গতিতে সিলেট অভিমুখে পালাতে থাকে। পুলিশ দলও তাদের ধাওয়া করে এবং বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে ছিনতাইকারী দলকে ধরার জন্য অন্যান্য মোবাইল দলের সহযোগীতা চায়। মোগলাবাজার থানার প্রত্যেকটি মোবাইল দল সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের একাধিক স্থানে ছিনতাইকারীদলকে আটকের চেষ্টা করে।
কিন্তু বেপরোয়া ছিনতাইকারী প্রাইভেটকার উল্কার গতিবেগে গাড়ি চালাইয়া বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে পালাতে থাকে। মোগলাবাজার থানা পুলিশ ধৈর্য্যহারা হয়নি।দৃঢ় মনোবলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের ব্যবহৃত যানবাহনসহ ছিনতাইকারীদলের পিছু ধাওয়া করতে থাকে। ছিনতাইকারী দল মোগলাবাজার থানা হেতিমগঞ্জ হয়ে শিববাড়ি রেলক্রসিং অতিক্রম করে চান্দাই দিয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় প্রবেশ করে। অত:পর দক্ষিণ সুরমা থানার বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে গাড়ি চালিয়ে কাজিরবাজার ব্রিজ অতিক্রম করে কোতোয়ালি থানায় প্রবেশ করে। তারা বিভিন্ন অলিগলি ফিল্মি স্টাইলে মড়রা দিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে নগরীর সেহরী খেতে জেগে উঠা লোকজনের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এক সময়ে কৌতহলি হয়ে তারাও মোটরসাইকেল ও গাড়িযোগে ছিনতাইকারীদের অনুসরণ করতে থাকে। ছিনতাইকারী পাকড়াওয়ের জন্য পুলিশ জনতার যৌথ ধাওয়া চলতে থাকে। একপর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে কোতোয়ালি থানাধীন বাগবাড়ী সোনার বাংলা আবাসিক এলাকায় পাকা রাস্তায় চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে বের হয়ে পালাতে থাকে। এসময় জনতার সহযোগিতায় ছিনতাইকারীদের আটক করে পুলিশ