আজ শুক্রবার, ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি, বিকাল ৪:২০

রমজান ও আত্মশুদ্ধি

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত মে ৮, ২০২০, ০৮:২৭ অপরাহ্ণ
রমজান ও আত্মশুদ্ধি

হাবিবুর রাহমান:: আজ ১৪ রামযান-১৪১৪ হিজরি মোতাবেক ০৮ মে-২০২০ ইংরেজি। মাগফিরাত দশকের চতুর্থ দিন আজ।
তাকওয়া বা আত্মশুদ্ধি। মধুর একটি ফল। যারা এর স্বাদ আস্বাদন করে তারা দুনিয়া ও আখিরাতে হয় সফল।
তাকওয়া এবং উত্তম ব্যবহার মানুষকে সবচেয়ে বেশী জান্নাতে নিয়ে যায়। পবিত্র রমজান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস। রোজার মাধ্যমে তাকওয়ার অনুশীলন হয়। বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা মাহে রমজানে রোজা রাখা ফরজ (অপরিহার্য) করে দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনের বাণী- ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমাদের ওপর রোজা অপরিহার্য করে দেওয়া হয়েছে। যেভাবে অপরিহার্য করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। সম্ভবত তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে।’ (সূরা আল বাকারা-১৮৩)।
আল কোরআনে ‘তাকওয়া’ শব্দটি তিনটি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ১. ভীতি, ২. আনুগত্য, ৩. পাপ মোচন।
এ তিনটি অর্থের সম্মিলিত রূপই তাকওয়া। অর্থাৎ জগৎ স্রষ্টা আল্লাহতায়ালার প্রতি ভয় রেখে তার বিধানের ওপর পূর্ণ আনুগত্যশীল হওয়া এবং যাবতীয় পাপ বর্জন করাই হলো তাকওয়া। আর রোজা ফরজ হওয়ার প্রধান কারণ হলো এ তাকওয়া অর্জন। কেননা, কারও ভিতর আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হলে তার পক্ষে গুনাহের কাজ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার এ কারণটির সঙ্গে যদি অন্য কারণগুলো পর্যালোচনা করি তাহলে সহজেই অনুমেয় হবে, রোজা খোদাভীতি ও মানবতাবোধের শ্রেষ্ঠ দর্শন। রোজা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্যকে নিয়ন্ত্রণ করে আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠনে সহায়তা করে। এ জন্যই আমরা দেখতে পাই, পৃথিবীর প্রায় সব ধর্মে রোজা বা রোজা জাতীয় উপাসনার নির্দেশনা রয়েছে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা রিপুগুলোকে দমন করে খাঁটি পথে অবিচল থাকবে তাদের অগণিত সওয়াব প্রদান করা হবে।’ ( সূরা আল জুমার-১০)।
অনেককেই দেখা যায়, রোজা রাখা সত্বেও নামাজ পড়েন না, টেলিভিশন ও সিনেমা দেখে সময় কাটান। এ থেকে বুঝা যায়, রোজার তাৎপর্য উনাদের কাছে স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন:  গোয়াইনঘাটে পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি গঠন

মনে রাখতে হবে রোজা আর উপবাস এক নয়। রোজা রেখে যদি খোদাভীতি অর্জন করা না যায় তাহলে কোন লাভ নেই। কারণ খোদাভীতি অর্জন করাই রোজার মূল উদ্দেশ্য।
মহানবী (সা.) বলেন: ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং মিথ্যা কাজ থেকে বিরত থাকতে পারল না, তার রোজা রেখে পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।’
আল্লাহকে ভয় করে চলা মানে যেমন তাঁর নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকা, তেমনি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তাঁর আদেশ পালন করা। নামাজ পড়া হল আল্লাহ’র আদেশ। কোন অবস্থাতেই আল্লাহ’র এই আদেশ লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই। রোজা রাখা অবস্থায় আল্লাহ’র এই আদেশ লংঘন করা বা নামাজ ত্যাগ করার কথা তো ঈমানদার ব্যক্তি চিন্তাই করতে পারেন না।

এ কারণে খোদাভীতি ও আত্মসংযম হল রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার মূল কথা।আল্লাহকে ভয় করে সমস্ত লোভ, লালসা হারাম থেকে বেঁচে থাকা রমজানের বড় শিক্ষা। এজন্য যথেষ্ট সবর ও ধৈর্য্য প্রয়োজন। প্রয়োজন পরস্পরের প্রতি সহনশীল হওয়া, সহমর্মিতা প্রকাশ করা।

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০