সিলেটের বার্তা প্রতিবেদক:: মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজসহ তারাবির নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ কর্তৃপক্ষকে বেঁধে দেওয়া ধর্মমন্ত্রণালয়ের ১২ নির্দেশনা বাস্তবায়নে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এসি পলাশ রঞ্জন দে ও অফিসার ইনচার্জ আখতার হাসেন।
গতকাল বুধবার ধর্মমন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত ১২ টি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি।
এর একদিন পর অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার মোগলাবাজার থানা এলাকার বিভিন্ন জামে মসজিদে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে
থানা পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
এছাড়াও মসজিদের ভেতরে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানো হয়। অপরদিকে মসজিদের ওযুর স্থান, প্রশ্রাবের স্থানে স্প্রে করা হয়।
মুসল্লিদের হাত ধুয়ার জন্য হ্যান্ড স্যানেটাইজারিং এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন।
ধর্মমন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা বাস্তবান কাজে ব্যস্ত থাকার সময় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মোগলবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হােসেন বলেন, মহামারী করোনাভাইরাস থেকে নিজে বাঁচতে এবং অপরকে বাঁচাতে ধর্মমন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনাগুলো মেনে চলা সকলের জন্য অত্যাবশকীয়।
আমরা সবাইকে সচেতন করতেই এই প্রচারণা চালাচ্ছি যাতে করে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়িত সকল মসজিদে।
সিলেটের বার্তার পাঠকের স্বাথে ১২টি নির্দেশনা নিচে প্রদত্ত করা হলো-
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া ১২ দফা শর্তের মধ্যে রয়েছে—মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না; পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে; মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন; মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে; প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
অন্য শর্তগুলো হচ্ছে—কাতারবদ্ধ হয়ে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে অর্থাৎ তিন ফুট পর পর দাঁড়ানো; এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করা; শিশু ও বয়োবৃদ্ধ এবং যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না; সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের অজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে; মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না; সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে; মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।
ইতিকাফ : উল্লিখিত শর্ত পালন সাপেক্ষে চলতি রমজানে প্রত্যেক মসজিদে সর্বোচ্চ পাঁচজন ইতিকাফের জন্য অবস্থান করতে পারবেন। এ সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ ছাড়া করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা হয়েছে।