সিলেটের বার্তা প্রতিবেদক:: সিলেটে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়তেই আছে।
আজ মঙ্গলবার নতুন আরও ১২ জনের শরীরে ধরা পড়েছে এ ভাইরাসের উপস্থিতি।
এ নিয়ে সিলেট বিভাগে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫৮ জনে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১২ জনের শরীরে ধরা পড়ে করোনাভাইরাস।
সুনামগঞ্জে ২২ জন আক্রান্ত, দিরাই হাসপাতাল লকডাউন: সুনামগঞ্জে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ২২ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছেতা। যার মধ্যে তাহিরপুর ৬ জন, শাল্লা ৫ জন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ৪ জন, দিরাই ৩ জন, ছাতক ৩ জন ও বিশ্বম্ভরপুর ১ জন করোনায় শনাক্ত হযেছেন।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এখানে কর্মরত ৩ স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা সনাক্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মে) সন্ধ্যায় হাসপাতাল লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শফি উল্লাহ। তিনি বলেন, শুধুমাত্র জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চলমান থাকবে। হাসপাতাল জীবাণুমুক্তকরণের পূর্ব পর্যন্ত সেবা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারে ৬ জনের করোনা পজেটিভ: মৌলভীবাজার জেলার আরো ৬ জনের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ জনে।
মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা তওহীদ আহমদ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুরনো অনেকগুলো জমে থাকা রিপোর্ট ছিল। মঙ্গলবার জেলার ৬ জনের পজেটিভ এসেছে সেটা জানানো হয়েছে। তারা রাজনগর ছাড়া বাকি সব উপজেলার।
সিভিল সার্জন সূত্র জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ১ হাজার ৮০৫ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১২ জন আছেন। করোনা আক্রান্তে মৃত্যু বরণ কারী ২জন।
হবিগঞ্জে নার্সসহ করোনা আক্রান্ত ২ জন: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহের ১২ দিন পরে রির্পোট আসলো করোনা পজেটিভ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১জন স্বাস্থ্যকর্মী (নার্স) ও ১জন বরিশাল ফেরত শ্রমিকসহ ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে ৩ দফায় নবীগঞ্জে এই পর্যন্ত ২জন স্বাস্থ্য কর্মীসহ সর্বমোট ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা ১টায় আসা রির্পোটে ২জন করোনা পজেটিভ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই ২ জনের করোনা টেষ্ট করা হয় ১২ দিন আগে।
আক্রান্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স (মহিলা) হিসেবে ওই দীর্ঘদিন থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আর অন্যজন ৪নং দীঘলবাঁক ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের বরিশাল ফেরত শ্রমিক বলে জানায় নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে নমুনা নেওয়ার ১২ দিন পর নার্সের নমুনা পজেটিভ আসায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. চম্পক কিশোর সাহা সুমন বলেন, দেশে করোনার প্রভাব শুরু হওয়ার পরপরই নবীগঞ্জ স্বাস্থ্যবিভাগ এই পর্যন্ত ২৬২ জন করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহে করে পাঠানো হলেও অনেক রির্পোট এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নার্স করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকলের নমুনা সংগ্রহ করপ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।