সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে এবার রোজার ঈদেও বন্ধ থাকবে গণপরিবহন। আন্তঃজেলা যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকার এমন সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছে, “ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটিতে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। ওই সময়ে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে গত ২৬ মার্চ থেকে। সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় সরকার ইতোমধ্যে লকডাউনের মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, ‘সাধারণ ছুটির’ এই সময়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলা এবং এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় জন সাধারণের চলাচল ‘কঠোরভাবে’ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা ‘সতর্কভাবে’ বাস্তবায়ন করবে।
“করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, ওষুধ কেনা, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।”
আদেশে বলা হয়েছে, সাধারণ ছুটি বা চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সময়ে জরুরি সেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ ছুটির বাইরে থাকবেন।
সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল চলাচলও অব্যাহত থাকবে।