নিজামুল হক লিটন :: করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে থাকা গরিব অসহায় মানুষের খোঁজে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আখতার হোসেন ও আলমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রাজিব রায়, ও এসআই জলিল, ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকতা মানুষের সেবার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া ও ফোন করে বললে পৌছে দেওয়া হয় খাদ্য সামগ্রী সিলেটের বার্তার অনুসন্ধানে উঠে আসে এমন তথ্য।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আখতার হোসেন সিলেটের বার্তা কে জানান, করোনাভাইরাসে একদিকে মানুষ লকডাউনে আছেন , অপরদিকে রমজান মাস।
সবমিলিয়ে মানুষ আজ অসহায় অবস্থায় আছে। আমাদের পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া স্যারের নিদেশ যাতে জনগণের , কোন কিছুতেই কষ্ট না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।
তাই আমার থানা এলাকায় ও যে কোনো মানুষ ফোন দিলে খাদ্য সামগ্রী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা নিজে গিয়ে পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করি যাতে গরিব অসহায় মানুষের কষ্ট না হয়, তিনি আরো জানান গরিব অসহায় মানুষকে আমাদের পুলিশ বাহিনীর চাকরির বেতনের টাকা থেকে আমরা এইসব খাদ্য সামগ্রী দিয়ে থাকি এর মধ্যে রয়েছে সহায়তা হিসেবে ৪ কেজি চাল, ৪ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ লিটার তৈল, আধা কেজি ডাল, ১টি বল সাবান এর প্যাকেট সাবান ইত্যাদি আলাদা আলাদা ভাবে একেক পরিবারকে আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের ঘরে পৌছে দেওয়া হয়
খাদ্য সহায়তা নিয়ে প্রতিনিধি ছুটে চলছেন কর্মহীন, অসহায় আর ছিন্নমূল মানুষের দুয়ারে। ছুটে চলেন ওসি আখতার হোসেন ও আলমপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকতারা ,এবেপারে সিলেটের বার্তা কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ কালে মো. ফারুক আহমদ জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে কামকাজ নাই এখন আমার একদম অসহায় অবস্থায় আছি, গোটাটিকর কামাল মিয়ার কলোনীতে স্ত্রী ও ২ মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন।
তিনি পরিবার চালাতেন বাস গাড়ী চালিয়ে। বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে তিনি কর্মহীন হয়ে পরিবার নিয়ে খাদ্য সংকটে পড়েন।
গতকাল শনিবার (১৮এপ্রিল) খবর পেয়ে গভীররাতে গোটাটিকর এলাকায় হাজির হয়ে ফারুক আহমদকে খাদ্য সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।