আন্তর্জাতিক বার্তা:: ভারতে মহামারী করোনাভাইরাসে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৯৩ জন এবং ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটিতে ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড সংখ্যক লোক আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে প্রকাশ, দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ৪৩ জন আক্রান্ত এবং ১ হাজার ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন হয়েছেন ৮ হাজার ৮৮৮ জন।
করোনায় আক্রান্ত মোট ৩৫ হাজার ৪৩ জনের মধ্যে ১১১ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা থেকে আজ (শুক্রবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ২৭, গুজরাটে ১৭, পশ্চিমবঙ্গে ১১, মধ্য প্রদেশ ও রাজস্থানে সাতজন করে এবং দিল্লিতে তিনজন মারা গেছেন।
করোনায় পশ্চিমবঙ্গে আগেই রাজধানী কোলকাতাসহ হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরকে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে প্রকাশ, সেই তালিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদহ জেলা যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ মোট দশটি জেলা রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত হল। অরেঞ্জ জোনের মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই বর্ধমান এবং হুগলি। বাকি আটটি জেলা গ্রিন জোনের আওতায় পড়েছে।
সংক্রামক করোনা ব্যাধির কারণে এখনো পর্যন্ত ১ হাজার ১৪৭ জনের মৃত্যুর মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ৪৫৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এরপরে গুজরাটে ২১৪, মধ্য প্রদেশে ১৩৭, দিল্লিতে ৫৯, রাজস্থানে ৫৮, উত্তর প্রদেশে ৩৯, পশ্চিমবঙ্গে ৩৩, অন্ধ্র প্রদেশে ৩১, তামিলনাড়ুতে ২৭, তেলেঙ্গানায় ২৬ এবং কর্ণাটকে ২১ জন মারা গেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, করোনায় ৪৫ বছরের কমবয়সি মানুষের মৃত্যুর হার ১৪ শতাংশ। ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তা ৩৪.৮ শতাংশ। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে মৃত্যুহার ৫১.২ শতাংশ। তবে, মৃতদের ৭৮ শতাংশের হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ছিল।
দেশের বেশ কিছু রাজ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিছু রাজ্যে অবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সেজন্য এই মুহূর্তে আমাদের সামাজিক দূরত্ব ও কনটেইনমেন্ট প্রক্রিয়াকে জীবনের অঙ্গ হিসেবে ধরে নিতে হবে বলেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লব আগরওয়াল মন্তব্য করেন।#