২৪ ঘন্টার মাথায় নামাজ নিয়ে বক্তব্য পাল্টালেন গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মসজিদে গিয়ে নামাজ না আদায় করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সিটি এলাকার মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে কোনো বাধা থাকবে না বলে ঘোষণা দেন। তবে একদিন পরেই এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এলেন তিনি।
বুধবার নতুন এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমি আমার প্রত্যেকটি নাগরিককে, গাজীপুর নগরের প্রত্যেকটি নাগরিককে অনুরোধ করব, আপনারা সরকার এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে যে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে, মসজিদে আপনারা সীমিত আকারে নামাজ পড়বেন, সেই নামাজটা পড়ার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ করছি।’
সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে যোগাযোগ করার পর নিজের বক্তব্য এক দিনের মাথায় প্রত্যাহার করে নিলেন মেয়র জাহাঙ্গীর।
এর আগে মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছিলেন, ‘গাজীপুরে মহানগরীতে মাত্র কয়েকটি এলাকায় করোনাভাইরাস রয়েছে। বাকিগুলো পাশের উপজেলাগুলোতে অবস্থান করছে। যেহেতু গাজীপুরের গার্মেন্টসগুলো খুলে দেয়া হয়েছে, তাই এ রমজান মাসে এখন আর মসজিদে অল্পসংখ্যক মুসল্লির জন্য সীমাবদ্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। শুক্রবারের জুমার নামাজ ও রমজানের তারাবির নামাজে মুসল্লিগণ অংশ নিতে পারবেন। এতে সিটি করপোরেশনের কোনো বাধা থাকবে না।’
মেয়রের এ বক্তব্যের পর সমালোচনা শুরু হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পরই গাজীপুরের অবস্থান। আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, গাজীপুরে ৩২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
ইতোমধ্যে সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৬ এপ্রিল দেশের সব মসজিদে বাইরে থেকে মুসল্লি ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকার জানায়, ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ মসজিদের খাদেমরা মিলে পাঁচজনের জামাত হবে। এ ছাড়া রোজায় তারাবির জামাতে ১২ জন একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার আগের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন তিনি। সরকারের নির্দেশনাই মানা হবে।