
সিলেটের বার্তা ডেস্ক:: সিলেটসহ সারাদেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সূচনা থেকেই ভাইরাসকে ভয় নয়, সচেতনতায় জয় করার পরামর্শ দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
শুধু লিখনীর মাধ্যমে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, সচেতন করতে হলে প্রয়োজন সুরক্ষাসামগ্রীর।
এনামুল হক লিলু উদ্যোগ নিলেন মাস্ক, মাস্ক, সেনিটাইজার, সাবান বিতরণের।
সিলেট মহানগর শ্রমিকলীগ এর সহ-সভাপতি এনামুল হক লিলু, শহরে বসবাসরত বাসা থেকে নিজ উদ্দ্যোগে খাদ্য সহায়তা অসহায়, কর্মহীন লোকদের মাধ্যমে বন্টন করলেও কাউকে ছবি তুলতে বা পোস্ট করতে দেননি।
এবার নিজ গ্রামের বাড়িতে শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাদ্য এবং ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন, যেখানে কেউ আসবে না,জানবে না,কিন্তু খাদ্য তার ঘরে পৌঁছে যাবে। খাদ্য সহায়তায় উপকার ভোগীদের নামের তালিকা কাউকে জানানো হবে না,কারো বাড়িতে খাদ্য দিয়েও তার কোন ছবি ধারণ করা হবে না,এমনকি উনি উনার মানুষ দিয়ে এলাকায় মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে জানান দিয়ে রেখেছেন, কেউ খাদ্য সহায়তায় ভুগলে যোগাযোগ করলে সাধ্যমত সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
শ্রমিকলীগ নেতা এনামুল হক লিলু কে তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিবেকের শিক্ষা থেকেই এভাবে করছি। বিশ্বের এই মহামারী আরও দীর্ঘ মেয়াদি হলে আমরাও হাত পাতার উপক্রম হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
এসব চিন্তা থেকেই আমি আমার নিকট আত্বীয় ভাই, ভাতিজার সহযোগিতায় মানুষের পাশে দাড়াতে পেরেছি,এবং ইনশাল্লাহ এই সহযোগিতা এবং খাদ্য উপহার অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন আমি নিউজ বা প্রচারের পক্ষে ছিলাম না,যেহেতু আপনারা লিখবেনই তাহলে, যারা আমার আহবানে প্রবাস থেকে সহযোগিতা করেছেন তাদের নাম উল্যেখ করতে চাই, আমার ভাতিজা জার্মান প্রবাসী আব্দুল আহাদ,যিনি আমার গ্রামের হাই স্কুলে এক সময় শিক্ষক ছিলেন।
জার্মান প্রবাসী আনহার মিয়া, আমার বন্ধু প্রতিম ভাতিজা। জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খায়রুল ভাই,(মামাত ভাই),দুবাই আওয়ামিলীগ সদস্য আমার মামাত ভাই সুয়েব আহমেদ, লন্ডন প্রবাসী ছোট ভাই আল-আমীন, ভাগনা লোকমান। আমার ভাতিজা লন্ডন প্রবাসী রয়েল আহমেদ ও আমার ভাগনা লন্ডন প্রবাসী অলিউর রহমান সালেহ।
আরও অনেক নিকট আত্বীয় যোগাযোগ করে সহযোগিতা করার ইচ্ছা পোষণ করছেন, পরবর্তীতে উনাদের সহযোগিতা নিয়ে আরও মানুষের পাশে দাড়ানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন মানবাধিকার সংগ্রামী শ্রমিকলীগ এর সহ-সভাপতি এনামুল হক লিলু।