
নিজস্ব প্রতিবেদক:: কালবৈশাখীর তান্ডব সিলেটসহ সারাদেশে। গত ২৪ ঘন্টায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে সিলেটে ৯ জনের।
সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে পৃথক পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় শিশুসহ ৯জনের প্রাণহানী ঘটে।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।মৃতদের বেশিরভাগই ধান কাটার শ্রমিক ও গরু চড়ানোর রাখাল।
শনিবার সিলেট সদর উপজেলার কালারুকায় বজ্রপাতে মারা যান ওই গ্রামের সমসের আলী ও তার ১২ বছরের ছেলে সাইফুল।এতে আহত হন আরও পাঁচ শ্রমিক।
ওসমানীনগরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে রাহী আহমেদ নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার দয়ামীর ইউপির খাগদিওর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে।
জকিগঞ্জে বজ্রপাতে গরুসহ এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি কালিগঞ্জ বাজারের তানিশা বস্ত্র বিতানের মালিক ও মানিকপুর ইউনিয়নের দরগাবাহারপুরের আতাই মিয়ার ছেলে ইসলাম উদ্দিন বলই।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দলইরগাঁওয়ে বজ্রপাতে আরও ১০ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে চারজন মারা গেছেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, উপজেলার পাঁচগুনিয়া হাওরে গরু চড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান ফরিদ মিয়া। তিনি পাথারিয়া ইউনিয়নের উত্তর গাজীনগরের আমিরুল ইসলামের ছেলে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফজুল ইসলাম মাসুম জানান, উপজেলার নলুয়ার হাওরে বজ্রপাতে মারা যান শিপন মিয়া নামে এক রাখাল। তিনি হলদিপুর ইউনিয়নের বাউধরন গ্রামের তবারক উল্লাহর ছেলে।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মুক্তাদির হোসেন জানান, উপজেলার নারায়ণপুরে বজ্রপাতে কৃষক শংকর দাস মারা যান। তিনি হবিবপুর ইউনিয়নের সুরেশ দাসের ছেলে।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সফি উল্লাহ জানান, উপজেলার উৎগল হাওরে ধান কাটতে গিয়ে তাপস মিয়া নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের মফিজ উল্লাহর ছেলে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশানক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, বজ্রপাতে মারা যাওয়া প্রত্যেকের দাফন ও সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা করে সরকারি অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের মুরাদপুর হাওরে গরু চড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় লালু মিয়া নামে এক গরু ব্যবসায়ীর। লালু মিয়া ওই গ্রামের অলি ইসলামের ছেলে।