আজ রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, দুপুর ১২:৪১

করোনার কালো ছায়ায় বিলীন চৈত্র সংক্রান্তি, ১৪২৬ বিদায়

সিলেটের বার্তা ডেস্ক
প্রকাশিত এপ্রিল ১৩, ২০২০, ০৮:২৩ অপরাহ্ণ
করোনার কালো ছায়ায় বিলীন চৈত্র সংক্রান্তি, ১৪২৬ বিদায়

জীবন যাত্রা বার্তা:: বাংলা বর্ষ ১৪২৬ সনের শেষ মাসের শেষ শেষ দিন আজ। এ দিনটিকে চৈত্র সংক্রান্তি বলা হয়।

দেশে প্রতি বছর ঘটা করে দিনটি উদযাপন করা হলে মরণব্যধি করোনার কালো ছায়ায় বিলীন হয়ে গেছে এ বছরের উৎসব।

মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) ১৪২৭ সনের প্রথম দিন বাংলা নববর্ষ। প্রতি বছর জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে কাল এ আহ্বান জানাবে গোটা বাঙালি জাতি। কিন্তু এবারের পেক্ষাপট ভিন্ন। করোনা ভাইরাস মহামারি আকার নেয়ায় এ বছর চৈত্র সংক্রান্তি কিংবা নববর্ষ উদযাপন হচ্ছে না।

বাংলা সনের সমাপনী মাস চৈত্রের শেষ দিনটি সনাতন বাঙালির লৌকিক আচারের চৈত্রসংক্রান্তি। প্রতিবছর রাজধানীতে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও গানের দল সুরের ধারা দিনটি ব্যাপক আয়োজনে উদযাপন করলেও এবার কোনো আয়োজন নেই। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে সুরের ধারার চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান রাতভর চলার পর শেষ হয় হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে। এবার এ অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না।

নাগরিক জীবনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে পুরোধা সংগঠন ছায়ানটও তাদের ঐতিহ্যবাহী রমনা বটমূলের প্রভাতি অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। তবে রমনা বটমূলের বিগত কয়েক বছরের অনুষ্ঠানগুলোর ভিত্তিতে একটি ধারণকৃত অনুষ্ঠান প্রচার করবে বিটিভি।

এ প্রসঙ্গে ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন গনমাধ্যমকে বলেন, ‘বর্তমান মহামারিতে বিশ্বজুড়ে অগণ্য মানুষের জীবনাবসান ও জীবনশঙ্কার ক্রান্তিলগ্নে ছায়ানট এবার ‘উৎসব নয়, সময় এখন দুর্যোগ প্রতিরোধের’ এই অঙ্গীকার নিয়ে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান উপস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।” বাংলাদেশ টেলিভিশন (১৪ এপ্রিল) সকাল ৭টায় অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে। বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপটে ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুনের সমাপনী কথন যুক্ত করা হয়েছে। বিটিভি ছাড়াও অনলাইনে ছায়ানটের (http://bit.ly/Chhayanaut) ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা যাবে। প্রথমে শারীরিক দূরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে তা বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন:  সিলেটে 'শ্বাসকষ্টের' রোগীকে 'করোনাভাইরাস' প্রচার!

১৯৬১ সালে যাত্রা শুরু করা ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের ভোরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে আসছে। এর আগে মাত্র একবার মুক্তিযুদ্ধকালে অনুষ্ঠানটি হয়নি। এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে।

বাংলা বর্ষবরণের আরেক ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানকে জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনেসকো অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ অনুষ্ঠানও এবার বাতিল করা হয়েছে। তবে রীতি অনুসারে প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলা বর্ষবরণের পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। এটি ভার্চুয়ালি প্রকাশিত হয়েছে।

চৈত্র সংক্রান্তি এক সময় গ্রামীণ জনপদের প্রধান উৎসব হলেও কালের প্রবাহে একসময় নাগরিক জীবনেও স্থান করে নেয় । এ উপলক্ষে দেশজুড়ে এখনো চলে নানা ধরনের মেলা, উৎসব। হালখাতার জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, আবৃত্তি, সঙযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠান।

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০