গোয়াইনঘাট থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা:: মরণব্যধি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সিলেটের গোয়াইনঘাটে আলেম সমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সৃষ্ট মহামারী থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় সরকারের বিভিন্ন গণসচেতনতামুলক উদ্যোগ ও নির্দেশনা মেনে চলতে প্রশাসনের নজরধারি অব্যাহত রয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টিতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকার নির্দেশিত ধারাবাহিক কর্মসূচীর আওতায় আলেম সমাজের সাথে বৈঠক করেছেন
সিলেটের গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুস সাকিব।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপজেলা সদর বাসভবনের নিচতলায় এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিয়ানে কেরাম গণকে পবিত্র রজনি লাইলাতুল বরাতের এবাদত নিজ গৃহে পালনের পাশাপাশি জুমার সালাতে অনধিক ১০জন ও প্রতি ওয়াক্তের সালাতে অনধিক ৫জন মুসল্লির সমন্ময়ে সালাত সম্পন্নের সিদ্ধান্ত মেনে চলার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
এসময় উপস্হিত ছিলেন দারুস সালাম,দারুল লাফনাউট মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল খলিফায়ে ফেদায়ে মিল্লাত হযরত মাওঃ আব্দুল খালিক শায়খে চাক্তা, গোয়াইনঘাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব, আলেমে দ্বীন হযরত মাওলানা আমিনুর রশিদ ,গোয়াইনঘাটের উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ প্রমুখ।
সভা শেষে এ ব্যাপারে কথা হলে দারুস সালাম দারুল হাদিস লাফনাউট মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা আব্দুল খালিক চাক্তা ও গোয়াইনঘাট কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুর রশিদ জানান, ধর্মীয় অনুশাসন বেষ্টিত অঞ্চল গোয়াইনঘাটের সবকটি এলাকায় করুনা ভাইরাস সৃষ্ট দুর্যোগের সময় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জামায়াতে সর্বসাকুল্যে ৫জন এবং পবিত্র জুমার নামাজে সর্বসাকুল্যে ১০ জন মুসল্লির উপস্থিতিতে নামাজ আদায়ের যার সিদ্ধান্ত পালনে আমরা একমত হয়েছি।
এ নির্দেশনা উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ও গ্রাম সমূহের মসজিদ ও মাদ্রাসা সমূহের ইমাম খতিব ও মোয়াজ্জিনগনকে মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে।